Hanuman Chalisa Lyrics in Bengali | হনুমান চালিশা বাংলা লিরিক্স

WhatsApp Channel Follow Now
Telegram Group Follow Now

Last updated on August 27th, 2023 at 12:30 am

Hanuman Chalisa Lyrics in Bengali : হনুমান চালিশা হল রামায়ণের অন্যতম মুখ্য ব্যক্তিত্ব হনুমানজীর প্রতি নিবেদিত অওধী ভাষায় লিখিত একটি জনপ্রিয় ভক্তিমূলক চালিশা অর্থাৎ চল্লিশটি চৌপাই নিয়ে রচিত কবিতা। 
 
বজরং বলি হনুমানজীর হনুমান চালিশা রচনার ইতিহাস জনমত অনুযায়ী, রামচরিতমানস রচয়িতা মহান কবি তুলসীদাস একবার তৎকালীন ভারতসম্রাট ঔরঙ্গজেবের সাথে দেখা করতে গেছিলেন। সম্রাট কবিকে উপহাস করেন এবং ভগবান রামচন্দ্রকে দর্শন করানোর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। মহান কবি তাকে জবাবে বলেন, মনের ভিতরের পরম নিষ্ঠা ছাড়া ভগবানদর্শন অসম্ভব। এই কথার শাস্তিস্বরূপ ঔরঙ্গজেব তাকে কারারুদ্ধ করার নির্দেশ দেন। প্রচলিত বিশ্বাস যে তুলসীদাস কারাবন্দি অবস্থাতেই এই দুর্দান্ত হনুমান চালিশা স্তব রচনা করেন। কথিত আছে, রচনাটি শেষ হওয়ার পরেই তুলসীদাস প্রথমবারের জন্য হনুমান চালিশা স্তবটি একদল বানরের সামনে পাঠ করেন।
 
 
Hanuman Chalisa Lyrics in Bengali

 

Hanuman Chalisa Lyrics in Bengali

 ||দোহা||
শ্রী গুরু চরণ সরোজ রজ নিজমন মুকুর সুধারি |
বরণৌ রঘুবর বিমলযশ জো দায়ক ফলচারি ||
বুদ্ধিহীন তনুজানিকৈ সুমিরৌ পবন কুমার |
বল বুদ্ধি বিদ্যা দেহু মোহি হরহু কলেশ বিকার্ ||
 
||চৌপাঈ||
জয় হনুমান জ্ঞান গুণ সাগর |
জয় কপীশ তিহু লোক উজাগর || 1 ||
 
রামদূত অতুলিত বলধামা |
অংজনি পুত্র পবনসুত নামা || 2 ||
 
মহাবীর বিক্রম বজরংগী |
কুমতি নিবার সুমতি কে সংগী ||3 ||
 
কংচন বরণ বিরাজ সুবেশা |
কানন কুংডল কুংচিত কেশা || 4 ||
 
হাথবজ্র ঔ ধ্বজা বিরাজৈ |
কাংথে মূংজ জনেবূ সাজৈ || 5||
 
শংকর সুবন কেসরী নংদন |
তেজ প্রতাপ মহাজগ বংদন || 6 ||
 
বিদ্যাবান গুণী অতি চাতুর |
রাম কাজ করিবে কো আতুর || 7 ||
 
প্রভু চরিত্র সুনিবে কো রসিযা |
রামলখন সীতা মন বসিযা || 8||
 
সূক্ষ্ম রূপধরি সিযহি দিখাবা |
বিকট রূপধরি লংক জরাবা || 9 ||
 
ভীম রূপধরি অসুর সংহারে |
রামচংদ্র কে কাজ সংবারে || 10 ||
 
লায সংজীবন লখন জিযাযে |
শ্রী রঘুবীর হরষি উরলাযে || 11 ||
 
রঘুপতি কীন্হী বহুত বডাযী |
তুম মম প্রিয ভরতহি সম ভাযী || 12 ||
 
সহস বদন তুম্হরো যশগাবৈ |
অস কহি শ্রীপতি কংঠ লগাবৈ || 13 ||
 
সনকাদিক ব্রহ্মাদি মুনীশা |
নারদ শারদ সহিত অহীশা || 14 ||
 
যম কুবের দিগপাল জহাং তে |
কবি কোবিদ কহি সকে কহাং তে || 15 ||
 
তুম উপকার সুগ্রীবহি কীন্হা |
রাম মিলায রাজপদ দীন্হা || 16 ||
 
তুম্হরো মংত্র বিভীষণ মানা |
লংকেশ্বর ভযে সব জগ জানা || 17 ||
 
যুগ সহস্র যোজন পর ভানূ |
লীল্যো তাহি মধুর ফল জানূ || 18 ||
 
প্রভু মুদ্রিকা মেলি মুখ মাহী |
জলধি লাংঘি গযে অচরজ নাহী || 19 ||
 
দুর্গম কাজ জগত কে জেতে |
সুগম অনুগ্রহ তুম্হরে তেতে || 20 ||
 
আরও পড়ুন:
 
 
 
রাম দুআরে তুম রখবারে |
হোত ন আজ্ঞা বিনু পৈসারে || 21 ||
 
সব সুখ লহৈ তুম্হারী শরণা |
তুম রক্ষক কাহূ কো ডর না || 22 ||
 
আপন তেজ তুম্হারো আপৈ |
তীনোং লোক হাংক তে কাংপৈ || 23 ||
 
ভূত পিশাচ নিকট নহি আবৈ |
মহবীর জব নাম সুনাবৈ || 24 ||
 
নাসৈ রোগ হরৈ সব পীরা |
জপত নিরংতর হনুমত বীরা || 25 ||
 
সংকট সেং হনুমান ছুডাবৈ |
মন ক্রম বচন ধ্যান জো লাবৈ || 26 ||
 
সব পর রাম তপস্বী রাজা |
তিনকে কাজ সকল তুম সাজা || 27 ||
 
ঔর মনোরধ জো কোযি লাবৈ |
তাসু অমিত জীবন ফল পাবৈ || 28 ||
 
চারো যুগ পরিতাপ তুম্হারা |
হৈ পরসিদ্ধ জগত উজিযারা || 29 ||
 
সাধু সংত কে তুম রখবারে |
অসুর নিকংদন রাম দুলারে || 30 ||
 
অষ্ঠসিদ্ধি নব নিধি কে দাতা |
অস বর দীন্হ জানকী মাতা || 31 ||
 
রাম রসাযন তুম্হারে পাসা |
সাদ রহো রঘুপতি কে দাসা || 32 ||
 
তুম্হরে ভজন রামকো পাবৈ |
জন্ম জন্ম কে দুখ বিসরাবৈ || 33 ||
 
অংত কাল রঘুবর পুরজাযী |
জহাং জন্ম হরিভক্ত কহাযী || 34 ||
 
ঔর দেবতা চিত্ত ন ধরযী |
হনুমত সেযি সর্ব সুখ করযী || 35 ||
 
সংকট কটৈ মিটৈ সব পীরা |
জো সুমিরৈ হনুমত বল বীরা || 36 ||
 
জৈ জৈ জৈ হনুমান গোসাযী |
কৃপা করো গুরুদেব কী নাযী || 37 ||
 
জো শত বার পাঠ কর কোযী |
ছূটহি বংদি মহা সুখ হোযী || 38 ||
 
জো যহ পডৈ হনুমান চালীসা |
হোয সিদ্ধি সাখী গৌরীশা || 39 ||
 
তুলসীদাস সদা হরি চেরা |
কীজৈ নাথ হৃদয মহ ডেরা || 40 ||
 
Hanuman Chalisa Lyrics in Bengali

 

 

Hanuman Chalisa Meaning in Bengali | হনুমান চালিশা মন্ত্র এবং এর অর্থ

 
১) ‘শ্রী গুরু চরণ সরোজ রাজ নিজ মানে মুকুরে সুধারি’
 
নিজের মনকে পরিশুদ্ধ করার পর আমি রঘুকুল বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজার খ্যাতি আবৃত্তি করি। যা আমাদের চারটি প্রচেষ্টার ফল দেয়।
 
২) ‘বুধি হীন তনু জানিকে সুমিরাও পবন কুমার’
 
নিজেকে কম বুদ্ধিমান মনে করে আমি মহাবীরের কথা মনে করবো যিনি আমাকে শক্তি, জ্ঞান দান করবেন।
 
৩) ‘জয় হনুমান জ্ঞান গুণ সাগর, জয় কাপেস টিহুন লোক উজাগর’
 
ভগবান হনুমানের বিজয় তুলে ধরা হয়েছে এখানে।
 
৪) ‘রাম দূত অতুলিত বাল ধামা অঞ্জনি পুত্র পবন সুত নামা’
 
শ্রী রামের বার্তাবাহক, অঞ্জনির পুত্র অসীম শক্তিধর।
 
৫) ‘মহাবীর বিক্রম বজরঙ্গি কুমতি নিভার সুমতি কে সঙ্গী’
 
অন্ধকার দূর করে শুভবুদ্ধি এনে দেন মহাবীর।
 
৬) ‘কাঞ্চন বরণ বিরাজ সুবেসা কানন কুন্দল কুঞ্চিত কেশা’
 
সোনার মতো গায়ের রং, সুবেশা।
 
৭) ‘হাথ বাজরা অউর ধুবাজে বিরাজে কান্ধে মঞ্জ জনেষু সাজাই’
 
একটি বিজয় (কেশারি) পতাকা হাতে তাঁর।
 
৮) ‘শঙ্কর সুভান কেশরী নন্দন তেজ প্রতাপ মহা জাগ ভণ্ডন’
 
ভগবান শঙ্করের বংশধর, শ্রী কেশরীর গর্ব তিনি।
 
৯) ‘বিদ্যাবান গুণী অতি চতুর রাম কাজ করিবে ক আতুর’
 
রামের নির্দেশ বহনকারী, বিদ্যাবান, গুণী হলেন মহাবীর।
 
১০) ‘প্রভু চরিত্র শুনিবে ক রসিয়া রাম লক্ষণ সীতা মন বসিয়া’
 
হনুমানজির বুকে থাকেন রাম, সীতা এবং লক্ষণ।
 
১১) ‘সূক্ষ্মা রূপ ধারী সিয়ানি দিখাবা বিকট রূপ ধারী লঙ্কা জরাভা’
 
লঙ্কায় আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
 
১২) ‘ভীমা রূপ ধারী অসুর সংহারে রামচন্দ্র কে কাজ সম্ভারে’
 
শ্রী রামের নির্দেশমতো অসুরদের শেষ করেছিলেন হনুমান।
 
১৩) ‘লায়ে সঞ্জীবন লখন জিয়ায়ে শ্রী রঘুবীর হারাশি ওর লায়ে’
 
লক্ষণের জীবন বাঁচাতে সঞ্জীবনী এনেছিলেন বীর হনুমান।
 
১৪) ‘রঘুপতি কিন্হী বহুত বড়াই তুম মুম প্রিয়ে ভারত হি সাম ভাই’
 
হনুমানকে নিজের ভাই ভরতের সমতুল্য ভালোবাসতেন শ্রী রাম।
 
১৫) ‘সাহস বাদন তুমহারো যশ গাবে উস কাহি শ্রীপতি কন্ঠ লাগাভে’
 
হাজার হাজার মানুষ বীর হনুমানের জয়গান করেন।
 
১৬) ‘সংকাদিক ব্রহ্মাদি মুনেসা নারদ সারদ সহিত আহেসা’
 
শঙ্কর মতো ভাববাদীরা, এমনকি ভগবান ব্রহ্মার মতো ঋষি, মহোদয় নরদ নিজে, দেবী সরস্বতী এবং অহিশা।
 
১৭) ‘যম কুবের দিগপাল জাহান তে কভি কবিদ কাহি সকে খান তে’
 
যমরাজ, কুবের, দিগপালও হনুমানজিকে অর্ঘ্য নিবেদন করেছেন।
 
১৮) ‘তুম উপকার সুগ্রীভহীন কীন্হা রাম মিলায়ে রাজপদ দীনহা’
 
আপনি সুগ্রীবের উপকার করেছেন। তাকে শ্রী রামের সাথে এক করে দিয়েছেন এবং তিনি তাকে সিংহাসনে বসিয়েছেন। আপনার পরামর্শ মেনে বিভীষণ লঙ্কার প্রভু হয়েছিলেন। এটি সমস্ত মহাবিশ্বে পরিচিত।
 
১৯) ‘যুগ সাহাস্ত্র যোজন পার ভানু লীলায় তাহি মধুর ফল জানু’
 
শত যোজন দূর থেকে সূর্যকে ফল মনে করেন হনুমান।
 
২০) ‘প্রভু মুদ্রিক মেলি মুখ মাহি জলধি লঙ্ঘি গায়ে আচরাজ নাহি’
 


 
প্রভুর আংটি মুখে বহন করে, হনুমান সহজেই সমুদ্রজুড়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
 
২১) ‘দুর্গাম কাজ জগৎ কে যেতে সুগম অনুগ্রহ তুম্হারে তেতে’
 
পৃথিবীর সমস্ত কঠিন কাজের বোঝা মহাবীরের সদয় অনুগ্রহে হালকা হয়ে যায়।
 
২২) ‘রাম দ্বারে তুম রাখভরে, হোট না আজ্ঞা বিনু পয়সারে’
 
মহাবীর শ্রী রামের ঐশ্বরিক আবাসের দরজার প্রেরক। তার অনুমতি ব্যতীত কেউ সেখানে প্রবেশ করতে পারে না।
 
২৩) ‘সব সুখ লাহে তুম্হারি সারনা তুম রক্ষক কাহু কো দার না’
 
বিশ্বের সব সুখ তোমার পায়ের নিচে। ভক্তরা তোমার পায়ের নিচে শান্তি খুঁজে পান।
 
২৪) ‘আপন তেজ সামহারো আপাই তিনহো লোক হাঙ্ক তে কোনপাই’
 
মহাবীর নিজের বীরত্ব নিজেই বহন করেন। তার বজ্রকণ্ঠে গোটা পৃথিবী কাঁপে।
 
২৫) ‘ভূত পিশাচ নিকট নাহি আভায় মহাবীর যব নাম সুনাভাই’
 
মহাবীরের নাম শুনলে ভূত পিশাচ পালিয়ে যায়।
 
২৬) ‘সঙ্কট সে হনুমান চূড়াভাই মন করম বাচান যে লাভাই’
 
যারা আন্তরিকতা ও বিশ্বাসের সাথে শ্রী হনুমানকে চিন্তায়, কথাতে এবং কর্মে স্মরণ করেন, তারা জীবনের সমস্ত সঙ্কট থেকে উদ্ধার পেয়েছেন।
 
২৭) ‘সব পর রাম তাপসভী রাজা তিন কে কাজ সকল তুম সাজা’
 
যাঁরা রামের ওপর ভরসা রাখেন তাঁদের সব সমস্যা দূর করে দেন হনুমানজি।
 
২৮) ‘অউর মনোরথ জো কোই লাভাই সহি অমিত জীবন ফল পাভই’
 
কোনও মনোস্কামনা নিয়ে কেউ মহাবীরের কাছে এলে তা পূর্ণ হবে।
 
২৯) ‘চারণ যুগ পারতাপ তুমহারা হ্যায় পারসিধ জগৎ উজিয়ারা’
 
চার যুগের সমস্ত সময় জুড়েই, হনুমানের দুর্দান্ত গৌরব সুদূরপ্রসারী প্রশংসিত। তার খ্যাতি পুরো বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত।
 
৩০) ‘সাধু সন্ত কে তুম রাখওয়ারে অসুর নিকানদান রাম দুলহারে’
 
সাধু সন্তদের রক্ষাকর্তা মহাবীর। অসুরদের নিধন করেন তিনি।
 
৩১) ‘আস্থা সিদ্ধি নাভ নিধি কে ধাতা উস ভার দীন জানকি মাতা’
 
হনুমানজি যে কাউকে অষ্ট সিদ্ধি ও নবম নিধির অনুদান দিতে পারেন।
 
৩২) ‘রাম রসায়ন তুমহারে পাসসদা রহো রঘুপতি কে দসা’
 
শ্রী রামের প্রতি ভক্তি প্রদর্শনের ক্ষমতা রাখেন মহাবীর।
 
৩৩) ‘তুম্হারে ভজন রাম ক পাভাই জনম জনম কে দুখ বিস্রাবই’
 
হনুমানের প্রতি ভক্তিতে গাওয়া স্তবগুলির মাধ্যমে, কেউ শ্রী রামকে খুঁজে পেতে পারেন এবং যন্ত্রণা থেকে মুক্ত হতে পারেন।
 
৩৪) ‘অন্তঃ কাল রঘুবীর পুর যায়ে জাহান জনম হরি ভক্ত কাহায়ে’
 
মৃত্যুকালে যদি কেউ শ্রী রামের পদযুগলে স্থান পান তাহলে পরের সব জন্মে তিনি মহাবীরের ভক্ত হয়ে জন্মাবেন।
 
৩৫) ‘অউর দেবতা চিৎ না ধরেহি হনুমান্থ সে হয় সর্বে সুখ করেহি’
 
শ্রী হনুমানের প্রতি ভক্তিই সমস্ত সুখ দিতে পারে।
 


 
৩৬) ‘সঙ্কট কাটে মিতে সব পীরা জো সুমিরাই হনুমাত বলবীরা’
 
যে শ্রী হনুমানকে শ্রদ্ধা ও স্মরণ করে পৃথিবীর পুনর্জন্মের সমস্ত দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেয়েছে।
 
৩৭) ‘জয় জয় জয় হনুমান গোসাহীন কৃপা করাহু গুরুদেব কি ন্যাহী’
 
শ্রী হনুমানকে সর্বোচ্চ গুরু মেনে তার কাছে আশীর্বাদ চান ভক্তরা।
 
৩৮) ‘জো সৎ বার পথ কারে কোহি ছুঁতেহি বান্ধি মহা সুখ হহি’
 
এক হাজার বার কেউ চালিশা পাঠ করলে জীবন ও মৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্তি পাবেন।
 
৩৯) ‘জো ইয়াহ পধে হনুমান চালিশা হোয়ে সিদ্ধি সখি গৌড়ীশা’
 
প্রতিদিন হনুমান চালিশা পাঠ করলে সব বিপদ থেকে মুক্তি পাবেন।
 
৪০) ‘পবননাই সঙ্কট হরণ মঙ্গল মূর্তি রূপ’
 
সব দুর্দশার বিনাশকারী, শুভর প্রতীক মহাবীর। তাঁর বুকে রামের সঙ্গে লক্ষণ ও সীতার বাস।
 

হনুমান চলিশা পাঠের উপকারিতা

 
হনুমান চালিশা পাঠে ভাগ্য ফিরতে পারে আপনার। জেনে নিন হনুমান চালিশা জপের উপকারিতা।
 
1. হনুমান চালিশা স্তব পাঠ শক্তি ও বুদ্ধি অর্জনে সহায়তা করে জোরে জোরে হনুমান চালিশা পাঠ, আপনার চারদিকে ইতিবাচক শক্তির এক জাল তৈরি করে ও নেতিবাচক শক্তিকে দূরে সরিয়ে দেয়। হনুমান চালিশা স্তব আপনাকে মানসিক শক্তি ও স্থিতি দেয়। এটি মাথাব্যথা, নিদ্রাহীনতা, উদ্বেগ, হতাশা ইত্যাদির মতো আপাতনিরীহ রোগগুলিকেও নিরাময় করে।
 
2. হনুমান চালিশা পাঠ সব ইচ্ছাপূরণ করে
বিশ্বাস করা হয়, নিষ্ঠার সাথে একাগ্রচিত্তে হনুমান চালিশার চল্লিশটি শ্লোক পাঠ করলে মানুষের সমস্ত ইচ্ছাপূরণ সম্ভব। ভগবান হনুমান আপনাকে শক্তি ও অনুগ্রহ দান করেন।
 
3. নিরাপদ ভ্রমণের জন্য হনুমান চালিশা
যাত্রাকালীন সময় কখনো হঠাৎ কোনো বিপদ এলে, একাগ্রচিত্তে হনুমান চালিশা পাঠ যে কোনো বিপদের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে। আপনি নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন বহু গাড়িতেই ভগবান হনুমানের একটি ছোট মুর্তি ড্যাশবোর্ডের উপরে বসানো থাকে? বহ্যমানুষের আন্তরিক বিশ্বাস, ভগবান হনুমান যে কোনো রকমের দুর্ঘটনার হাত থেকে আমাদের রক্ষা করেন।
 
4. রাতে অনেকেরই দুঃস্বপ্নে ঘুম ভেঙে যায়৷ হনুমান চালিশা পাঠ করলে দুঃস্বপ্ন আসে না৷ শোওয়ার সময় বালিশের নিচে হনুমান চালিশা রেখে দিলে খারাপ স্বপ্ন আসবে না। অতীতের কোনও খারাপ স্মৃতি অনেককে তাড়া করে বেড়ায়৷ তা থেকেও মুক্তি পেতে পারেন হনুমান চালিশা পাঠ করলে৷
 

হনুমান চালিশা পাঠ করার নিয়ম

 
5. দুষ্ট, নেতিবাচক শক্তি দূর হয়ে যায় হনুমান চালিশা পাঠ করলে৷ সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়।
 
6. দুশ্চিন্তায় ঘুম আসে না? স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদে ভুগছেন? কাজে মন বসছে না? জীবনের সমস্ত চাপ থেকে মুক্তি পেতে পারেন হনুমান চালিশা পাঠে। জীবনকে সঠিক পথে নিয়ে যেতে পারবেন।
 
7. শনির সাড়ে সাতির বিপদ থেকে আপনাকে বাঁচাতে পারেন বীর হনুমান। নিয়ম করে পাঠ করলে শনির সাড়ে সাতির প্রভাব থেকেও মুক্তি মেলে
 
8. অনেকেই গাড়িতে হনুমান চালিশা ও হনুমানজির মূর্তি রাখেন৷ বিশ্বাস করা হয় যে, দুর্ঘটনা আটকে দিতে পারেন মহাবীর। যাত্ৰা শুভ হয়।
 
9. অসৎ সঙ্গে চলে গিয়েছে কাছের মানুষটি, প্রতিদিন তাকে হনুমান চালিশা পাঠ করান। বিপথ থেকে ফিরে আসবে তাড়াতাড়ি।
 
10. কর্মক্ষেত্রে বাধা বিপত্তি সবার আসে। দিনরাত খেটেও সাফল্য পান না। হনুমান চালিশা পাঠ করলে মহাবীর আপনা সব বাধা দূর করবেন। কর্মজীবনে আসবে সাফল্য৷
 
11. যাঁরা জ্ঞানার্জন করতে চান, নিয়ম করে পাঠ করুন হনুমান চালিশা। আধ্যাত্মিক জ্ঞান বাড়াতে সাহায্য করে এটি।
 

হনুমান চলিশা পাঠের উপযুক্ত সময়  

 
শাস্ত্র মতে প্রতি মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার রাতে হনুমান চালিশা পাঠ করলে জীবনে উন্নতি ঘটে। তবে প্রতিদিনই আপনি হনুমান চালিশা পাঠ করতে পারেন। স্নান করে পরিষ্কার পোশাক পরে হনুমান চলিশা পাঠ করতে হবে। তাহলেই হনুমানজীর আশীর্বাদ লাভ করবেন!

Leave a Comment

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now