Last updated on August 27th, 2023 at 12:15 am
Bajrang Baan in Bengali : বিশ্বাস করা হয় যে সমস্ত চেষ্টা করার পরেও ব্যর্থ হলে ‘শ্রী বজরং বাণ মন্ত্র’ জপ করলে ব্যর্থতা কেটে যায় । যখন বিপদ খুব জোরালো হয়, তখন এটি পাঠ করলে খুব তাড়াতাড়ি শুভ ফল পাওয়া যায়।
এছাড়া আপনি যদি শত্রু দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকেন এবং শত্রুরা যদি নিয়মিত সমস্যা ও বাধা বিপত্তি সৃষ্টি করে থাকে তবে আপনি বজরং বাণ মন্ত্রটি পাঠ করতে পারেন। যারা দীর্ঘ দিন ধরে দুরা রোগে ভুগছেন বা যারা কোন ওষুধ খাওয়ার প্রভাব পাচ্ছেন না, এমন ব্যক্তিদের বজরং বাণ পাঠ করা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
Bajrang Baan in Bengali
||দোহা||
নিশ্চয় প্রেম প্রতীতি,
বিনয় করি সম্মান।
তহি কে করজ সকল শুভ,
সিদ্ধ করেঁ হনুমান।।
||চৌপাই||
জয় হনুমন্ত সন্ত হিতকারী।
সুন লীজৈ প্রভু অরজ হামারী।।
জনকে কাজ বিলম্ব ন কীজে।
আতুর দৌরি মহাসুখ দীজে।।
জ্যয়সে কুদি সিন্ধু মহি পারা।
সুরসা বদন পৈঠি বিস্তরা।।
আগে জাঈ লঙ্কিনী রোকা।
মারেহু লাথ গই সুর লোকা।।
জয়ে বিভীষণ কো সুখ দীনহা।
সীতা নিরখি পরম পদ লীনহা।।
বাগ উজারি সিন্ধু মহঁ বোরা।
অতি আতুর যম কাতর তোরা।।
অক্ষয় কুমারা মারি সংহারা।
লুম লপেট লঙ্ক কো জারা।।
লহ সমান লঙ্ক জরি গই।
জয় জয় ধ্বনি সুরপুর মহঁ ভই।।
অব বিলম্ব কেহি করন স্বামী।
কৃপা করহু উর অন্তর্যামী।।
জয় জয় লক্ষন প্রান কে দাতা।
আতুর হোয় দুখ করহু নিপাতা।।
জয় গিরিধর জয় জয় সুখ সাগর।
সুর সমূহ সমরথ ভটনাগর।।
ওম হনু হনু হনু হনুমন্ত হঠীলে।
বৈরিহি মারূ বজ্র কী কীলে।।
গদা বজ্র লৈ বৈরিহি মারো।
মহারাজ প্রভু দাসা উবারো।।
ওঙ্কার হুঙ্কার মহাপ্রভু ধাবো।
বজ্র গদা হনু বিলম্ব না লাবো।।
ওম্ হ্রীঁ হ্রীঁ হ্রীঁ হনুমন্ত কপীশা।
ওম হুঁ হুঁ হুঁ হনু অরি উর শীশা।।
সত্য হোহু হরি শপথ পায়কে।
রামদূত ধরু মারু ধায় কে।।
জয় জয় জয় হনুমন্ত অগাধা।
দুঃখ পাবত জন কেহি অপরাধা।।
পূজা জপ তপ নেম অচারা।
নেহি জানত হো দাসা তুমহারা।।
বন উপবন মগ, গিরী গৃহ মাঁহী।
তুমহার বল হাম ডরপত নাহী।।
পাঁয় পরৌ কর জোরি মানাবৌ।
ইয়হি অবসর অব কেহি গোহরাবৌ।।
জয় অঞ্জনী কুমার বলবন্তা।
শঙ্কর সুবন ধীঁর হনুমন্তা।।
বদন করাল কাল কুল ঘালক।
রাম সহায় সদা প্রতিপালক।।
ভূত প্রেত পিশাচ নিশাচর।
অগ্নিবেতাল কাল মারীমর।।
ইনহেঁ মারু তোহি শপথ রামকী।
রাখু নাথ মর্যাদা নাম কী।।
জনক সুতা হরি দাস কহাবো।
তাকী শপথ বিলম্ব ন লাবো।।
জয় জয় জয় ধুনি হোত আকাশা।
সুমিরত হোত দুসহ দুঃখ নাশা।।
চরন স্মরণ করি জোরি মনাবোঁ।
য়হি অবসর অব কেহি গোহরাবৌঁ।।
উঠু উঠু চলু তোহি রাম দুহাই।
পায় পরৌ কর জোরি মনাই।।
ওম চং চং চং চং চপল চলন্তা।
ওম হনু হনু হনু হনু হনুমন্তা।।
ওম হং হং হঁংকা দেত কপি চঞ্চল।
ওম সং সং সহমি পরানে খল দল।।
অপনে জন কো তুরত উবারো।
সুমিরত হোয় আনন্দ হমারো।।
য়হ বজরঙ্গ বাণ জেহি মারে।
তহি কহো ফির কৌন উবারে।।
পাঠ করে বজরঙ্গ বান কী।
হনুমাত রক্ষা করে প্রান কী।।
য়হ বজরঙ্গ বান জো জাঁপে।
তাঁতে ভূত প্রেত সব কাপৈ।।
ধূপ দেয় অরু জপৈ হমেশা।
তাঁকে তন নহি রহে কলেশা।।
||দোহা||
প্রেম প্রতীতহি কপি ভজৈ,
সদা ধরৈ উর ধ্যান।
তেহি কে কারজ সকল শুভ,
সিদ্ধ করে হনুমান।।
- আরও পড়ুন:
- 👉 হনুমান চালিশা বাংলা লিরিক্স PDF
- 👉 Hanuman Chalisa in Bengali
- 👉 Hanuman Chalisa Lyrics in Bengali
Bajrang Baan in Bengali PDF
বজরং বান মন্ত্র পাঠের কথা আমারা অনেকেই হয়ত শুনেছি। যারা শোনেননি বা এর সম্বন্ধে বিশদে জানেন না তাদের উদ্দেশ্যে এই লেখা।
হনুমানজী এই কলীযুগের সবচেয়ে জাগ্রত দেবতা। যিনি ভক্তদের অল্প ডাকেই সাড়া দেন। হনুমানজীর অনেক রুপের মধ্যে অন্যতম রুপ হল বজ্ররুপ।
এই বজ্ররুপকে আরাধনার জন্য বজরং বান মন্ত্রের পাঠ করা হয়। এর নামের মধ্যেই এর মাহাত্ম লুকিয়ে আছে। যেকোন মন্ত্র বা স্তোত্র -র পেছনে যদি ‘বাণ’ শব্দ আসে তাহলে বুঝে নিতে হবে এক আলাদাই মাহাত্ম রয়েছে।
Bajrang Baan in Bengali PDF Download : করার জন্যে নিচের দেওয়া ডাউনলোড বক্সে ক্লিক করুন।
Bajrang Baan in Bengali With Meaning
||দোহা||
নিশ্চয় প্রেম প্রতীতি,
বিনয় করি সম্মান।
তহি কে করজ সকল শুভ,
সিদ্ধ করেঁ হনুমান।।
যে সমস্ত ভক্তরা প্রেম ও অটল বিশ্বাসের সঙ্গে এই চৌপাঈ গুলি পাঠ করেন তাদের মনের সমস্ত শুভ মনস্কামনা হনুমানজী পূর্ণ করেন।
||চৌপাই||
জয় হনুমন্ত সন্ত হিতকারী।
সুন লীজৈ প্রভু অরজ হামারী।।
জনকে কাজ বিলম্ব ন কীজে।
আতুর দৌরি মহাসুখ দীজে।।
হে হনুমানজি ভক্তদের উপকারী,আমার প্রার্থনা শুনুন ভক্তদের কাজে বিলম্ব করবেন না,আপনি ছুটে যান আর আপনার ভক্তদের মহাসুখ প্রদান করুন।
জ্যয়সে কুদি সিন্ধু মহি পারা।
সুরসা বদন পৈঠি বিস্তরা।।
আগে জাঈ লঙ্কিনী রোকা।
মারেহু লাথ গই সুর লোকা।।
যেমন করে এক লাফে সমুদ্র পার করেছিলেন।সুরসার প্রসারিত মুখ থেকে বের হয়ে এসেছিলেন লঙ্কিনী পিতা যে আপনাকে লঙ্কায় প্রবেশে বাধা দিয়েছিল তাকে লাথি মেরে স্বর্গ লোকে প্রেরন করেছিলেন।
জয়ে বিভীষণ কো সুখ দীনহা।
সীতা নিরখি পরম পদ লীনহা।।
বাগ উজারি সিন্ধু মহঁ বোরা।
অতি আতুর যম কাতর তোরা।।
লঙ্কায় গিয়ে আপনি বিভীষণকে সুখ প্রদান করেছিলেন। মাতা সিতা কে খুঁজে বের করে পরম পদের প্রাপ্তী করেছিলেন। আপনি রাবনের লঙ্কার অশোক গাছ উপড়ে দিয়েছিলেন।এবং রাবণের পাঠানো সৈন্যদের জন্য যমদূত হয়ে উঠেছিলেন।
অক্ষয় কুমারা মারি সংহারা।
লুম লপেট লঙ্ক কো জারা।।
লহ সমান লঙ্ক জরি গই।
জয় জয় ধ্বনি সুরপুর মহঁ ভই।।
আপনি অক্ষয় কুমার (রাবণ পুত্র) কে হত্যা করেছিলেন। আপনি ল্যাজ দিয়ে লঙ্কাকে মোমের তৈরি মহলের মত জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন। আপনার জয়ের ধ্বনীতে স্বর্গ মুখরিত হয়েছিল।
অব বিলম্ব কেহি করন স্বামী।
কৃপা করহু উর অন্তর্যামী।।
জয় জয় লক্ষন প্রান কে দাতা।
আতুর হোয় দুখ করহু নিপাতা।।
তবে কেন এখন প্রভু দেরি করছেন? কৃপা কর হে অন্তর্যামী। জয় হোক আপনার হে লক্ষণের প্রাণ দাতা। দ্রুত আমার ভয় দুঃখ দূর করো।
জয় গিরিধর জয় জয় সুখ সাগর।
সুর সমূহ সমরথ ভটনাগর।।
ওম হনু হনু হনু হনুমন্ত হঠীলে।
বৈরিহি মারূ বজ্র কী কীলে।।
হে গিরিধারী সুখের সাগর বজরংবলী আপনার জয় হোক। সমস্ত দেবতা সহিত স্বয়ং ভগবান বিষ্ণুর মত সামর্থ্য যে রাখে পবনপুত্র হনুমান আপনার জয় হোক।হে পরমেশ্বর রুপী হটীলে-বজ্র কীলে শত্রুদের উপর প্রহার করুন।
গদা বজ্র লৈ বৈরিহি মারো।
মহারাজ প্রভু দাসা উবারো।।
ওঙ্কার হুঙ্কার মহাপ্রভু ধাবো।
বজ্র গদা হনু বিলম্ব না লাবো।।
হে প্রভু আপনি আপনার গদা দিয়ে আপনার ভৃত্যদের শত্রুর উপর প্রহার করে তাদের মুক্তি দিন। ওঁমের বজ্রধ্বনি বলে শত্রুদের চ্যালেঞ্জ করুন এবং তাদের আপনার গদা দিয়ে পিষ্ট করতে বিলম্ব করবেন না।
ওম্ হ্রীঁ হ্রীঁ হ্রীঁ হনুমন্ত কপীশা।
ওম হুঁ হুঁ হুঁ হনু অরি উর শীশা।।
সত্য হোহু হরি শপথ পায়কে।
রামদূত ধরু মারু ধায় কে।।
হে হনুমানজী বানর প্রভু আপনাকে হ্রীঁ হ্রীঁ হ্রীঁ এবং ওঁম হুঁম হুঁম হুঁম মন্ত্রের সাথে আহ্বান জানাই। আপনি শত্রুদের বুকে ও মাথায় আঘাত করুন। আমি হরির নামে শপথ করে যা বলছি তা সত্য বলছি। যে শ্রী রামের দূত আপনি শত্রু আক্রমনে ছুটে যান।
জয় জয় জয় হনুমন্ত অগাধা।
দুঃখ পাবত জন কেহি অপরাধা।।
পূজা জপ তপ নেম অচারা।
নেহি জানত হো দাসা তুমহারা।।
হে হনুমানজী আমি আমার হৃদয় অন্তর থেকে আপনার জয়জয়কার করছি। কোন অপরাধে আপনার ভক্ত এত কষ্ট পাচ্ছে? আপনার এই দাস পূজার সব জপ, তপ, পূজার আচার বিচার কিছুই জানেনা।
বন উপবন মগ, গিরী গৃহ মাঁহী।
তুমহার বল হাম ডরপত নাহী।।
পাঁয় পরৌ কর জোরি মানাবৌ।
ইয়হি অবসর অব কেহি গোহরাবৌ।।
বন উপবন পাহাড় রাস্তা বা গৃহে আপনার বলে আমি কোথাও ভয় পাই না। আপনার সামনে আমি কর জোড় করছি, পায়ে পড়ছি। এই সময় আর কাকে স্মরণ করব বল?
Bajrang Baan Lyrics in Bengali
জয় অঞ্জনী কুমার বলবন্তা।
শঙ্কর সুবন ধীঁর হনুমন্তা।।
বদন করাল কাল কুল ঘালক।
রাম সহায় সদা প্রতিপালক।।
হে হনুমানজি অঞ্জনীর সর্বশক্তিমান পুত্র এবং শিবের সাহসী পুত্র আপনার জয় হোক। আপনার শরীর কালের সমান বিশাল। আপনি সর্বদা শ্রী রামের আদেশ পালন করেছেন।
ভূত প্রেত পিশাচ নিশাচর।
অগ্নিবেতাল কাল মারীমর।।
ইনহেঁ মারু তোহি শপথ রামকী।
রাখু নাথ মর্যাদা নাম কী।।
ভূত,প্রেত,পিশাচ,নিশাচর,অগ্নি,বেতাল,কাল মহামারীর মতো দুষ্টু আত্মাকে আপনি আপনার অগ্নিতে ভস্ম করে দেন। আপনাকে শ্রী রামের দিব্যি আপনি এদের হত্যা করে শ্রী রাম নামের মর্যাদা রাখুন।
জনক সুতা হরি দাস কহাবো।
তাকী শপথ বিলম্ব ন লাবো।।
জয় জয় জয় ধুনি হোত আকাশা।
সুমিরত হোত দুসহ দুঃখ নাশা।।
আপনি শ্রীরাম ও মাতা সীতার দাস। তাদের দিব্যি দিয়ে অনুরোধ করছি আর বিলম্ব করবেন না। আপনার নামের জয় ধ্বনিতে আকাশ-বাতাস মুখরিত হচ্ছে। আপনার স্মরণে দুঃখ-কষ্ট সব নাশ হয়ে যায়।
চরন স্মরণ করি জোরি মনাবোঁ।
য়হি অবসর অব কেহি গোহরাবৌঁ।।
উঠু উঠু চলু তোহি রাম দুহাই।
পায় পরৌ কর জোরি মনাই।।
আপনার পদ যুগল স্মরণে রেখে কর জোড়ে আপনাকে রাজী করাই। এই বিপদের সময় আর কাকে স্মরণ করব? উঠুন উঠুন আপনাকে শ্রী রামের দোহাই। আপনার পায়ে দন্ডায়মান হয়ে কর জোড়ে আপনার কৃপা আশা করছি।
ওম চং চং চং চং চপল চলন্তা।
ওম হনু হনু হনু হনু হনুমন্তা।।
ওম হং হং হঁংকা দেত কপি চঞ্চল।
ওম সং সং সহমি পরানে খল দল।।
হে সদা চলন্ত হনুমানজি চলে আসুন। হনুমানজী আপনার হুংকারে রাক্ষস দল ভয় পেয়ে গেছে।
অপনে জন কো তুরত উবারো।
সুমিরত হোয় আনন্দ হমারো।।
য়হ বজরঙ্গ বাণ জেহি মারে।
তহি কহো ফির কৌন উবারে।।
হে বজরং বলি আপনার ভক্তদের শীঘ্র কল্যাণ করুন। আপনার সুমিরনে সবার শুভ হোক। আপনার এই বজরং বান যার লাগবে তাকে কে উদ্ধার করবে?
পাঠ করে বজরঙ্গ বান কী।
হনুমাত রক্ষা করে প্রান কী।।
য়হ বজরঙ্গ বান জো জাঁপে।
তাঁতে ভূত প্রেত সব কাপৈ।।
ধূপ দেয় অরু জপৈ হমেশা।
তাঁকে তন নহি রহে কলেশা।।
যে বজরং বাণের পাঠ করেন ভগবান হনুমান স্বয়ং তার প্রাণ রক্ষা করেন। যে এই বজরং বাণ পাঠ করে তাকে দেখে ভুত-প্রেত সবাই ভয়ে কাঁপতে থাকে। যে বজরংবলীকে ধূঁপ,প্রদীপ জ্বালিয়ে বজরং বাণের পাঠ করে তার কোনদিন কোন কষ্ট হয়না।
||দোহা||
প্রেম প্রতীতহি কপি ভজৈ,
সদা ধরৈ উর ধ্যান।
তেহি কে কারজ সকল শুভ,
সিদ্ধ করে হনুমান।।
যে ভক্ত প্রেমের সঙ্গে মহাবীর শ্রী হনুমানের ভজন করেন,যে হৃদয়ে সদা তাকে ধারণ করে রাখেন তার সকল কার্য স্বয়ং শ্রীহনুমান সিদ্ধ করেন।
বজরং বান পাঠ করার নিয়ম
- যখন বিপদ চারিদিক থেকে আপনাকে ঘিরে ফেলেছে আপনি কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না ঠিক তখনই এই বজরং বান মন্ত্র পাঠ করা উচিত। এটি ব্রহ্মাস্ত্রের মত কাজ করে যেকোন বড় ধরনের সমস্যার সমাধানে।
- আর কোন কোন পরিস্থিতিতে এই বজরং বান মন্ত্রের পাঠ করা উচিৎ:ব্যবসায় একদম ভরাডুবি।নিজের বা বাড়ির কারও মারণ রোগ।সন্তান প্রাপ্তির জন্য যখন সমস্ত জায়গায় হাজার চেস্টা করেও হতাশ হয়েছেন।
- আপনি মন থেকে বিশ্বাস করছেন যে আপনি অনেক বড় বিপদে রয়েছেন যা থেকে আপনার উদ্ধার প্রায় অসম্ভব অথবা এমন কোন ঘটনা যা ঘটলে আপনার ঘোর সঙ্কট আসতে পারে।
- খালি মাটিতে বসে বা মেঝেতে বসে পাঠ করবেন না। কুশ বা উলের আসনের ওপর বসে পাঠ করুন।
- যদি সম্ভব হয় তবে লাল বস্ত্র পরিধান করে পাঠ করতে বসুন।
- পাঠ করার আগে অবশ্যই রামজীর নাম পাঠ করুন। তারপর হনুমানজীর ধ্যান করুন।
- কখনও কারও ক্ষতির উদ্দেশ্যে এই পাঠ করবেন না। না হলে আপনার এমন ক্ষতি হয়ে যাবে যা আপনি পূরণ করতে পারবেন না।
- এই বাণ পাঠ মঙ্গলবার বা শনিবার শুরু করবেন।অবশ্যই আপনি যেদিন পাঠের অনুষ্ঠান করবেন সেই দিন নিরামিষ খাবার খাবেন। ব্রহ্মাচর্য পালন করবেন।
- যখনই আপনি পাঠ করবেন তখন প্রদীপ ও ধূপ জ্বালিয়ে নেবেন অবশ্যই। কারণ বজরং বাণের শেষ চৌপাইতে বলা রয়েছে ধূপ দেয় অরু জপৈ হমেশা। তাঁকে তন নহি রহে কলেশা।
- আপনি তিলের তেল বা যদি কোন শত্রুর হাত থেকে রক্ষা পেতে চান তো সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালাতে পারেন।
Bajrang Baan Benifits in Bengali
- হিন্দু ধর্মে বজরংবলীকে মঙ্গলবারের অধিপতি দেবতার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। তিনি সংকটমোচন নামেও পরিচিত।
- সংকট মুক্তির জন্য বজরংবলীর পুজোর বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। এদিন শুদ্ধ মনে বজরংবলীর পুজো করলে ব্যক্তির জীবনের সমস্ত কষ্ট দূর হয়।
- হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী প্রতি মঙ্গলবার সকালে স্নান করে বজরংবলীর এই মন্ত্র জপ করলে সমস্ত বাধা, বিঘ্ন, ভয় থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
- প্রতি মঙ্গল এবং শনিবার এক মনে “বাজরাঙ্গি বান” পাঠ করলে হনুমানজি এতটাই প্রসন্ন হন যে জীবন পথে চলতে চলতে সামনে আসা যে কোনও বাঁধার পাহাড় সরে যেতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি ছোট-বড় সব দুঃখ দূরে পালায় চোখের পলকে। সেই সঙ্গে মনের মণিকোঠায় সাজানো সব ইচ্ছাও পূরণ হয়।
- শাস্ত্র মতে প্রতিদিন সকালে স্নান সেরে হনুমানজির ছবি বা মূর্তির সামনে একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে যদি কম করে তিন বার বজরং বান পাঠ করা যায়, তাহলে নাকি রাহু-কেতুর দোষ তো কাটেই, সেই সঙ্গে শনির দশা কেটে যেতেও সময় লাগে না।
Hanuman Bajrang Baan in Bengali
হনুমানজীর আরাধনার সবচেয়ে জনপ্রিয় পাঠ হল হনুমান চালিসা পাঠ। বলা হয় যারা নিয়মিত হনুমান চালিসা পাঠ করেন বিপদ তাদের ধারে কাছও আসতে পারে না।
যদি কোন বড় বিপদও আসে তখনও এক শত বার হনুমান চালিসা পাঠ করার নিধান রয়েছে। তাহলে এই বজরং বানের পাঠ কেন? এর পাঠ সব সময় করা একদমই উচিত নয়।
যখন বিপদ চারিদিক থেকে আপনাকে ঘিরে ফেলেছে আপনি কোন উপায়ন্তর খুঁজে পাচ্ছেন না তখনই এক মাত্র এই হনুমান বান পাঠ করা উচিত। এটি ব্রহ্মাস্ত্রের মত কাজ করে যেকোন বড় সমস্যা সমাধানে।
FAQs
বজরং বান পাঠ করলে কি হয়?
হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী প্রতি মঙ্গলবার সকালে স্নান করে বজরংবলীর এই মন্ত্র জপ করলে সমস্ত বাধা, বিঘ্ন, ভয় থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
বজরং বান পাঠ করার নিয়ম?
এই বাণ পাঠ মঙ্গলবার বা শনিবার শুরু করবেন।অবশ্যই আপনি যেদিন পাঠের অনুষ্ঠান করবেন সেই দিন নিরামিষ খাবার খাবেন। ব্রহ্মাচর্য পালন করবেন।