Bangla Funny Jokes
স্বামীর মোবাইল টা ঘাটতে গিয়ে স্ত্রী দেখলো কন্টাক্ট লিস্টে Covid 19 লেখা! সঙ্গে সঙ্গে কল করতেই নিজের মোবাইল টা বাজতে শুরু করলো।
স্বামী এখন আইসোলেশনে আছেন।
ভিড়ে ঠাসা বাসে নারী কণ্ঠ এ কী, করছেন?
পুরুষ কণ্ঠ, জানি অসন্তুষ্ট হবেন। কিন্তু এই ভিড়ে এর থেকে বেশি কীইবা করতে পারি, বলুন?
শিক্ষক: হ্যা রে পচা, তাের মুখ দিয়ে ধোঁয়া বেরােচ্ছে কেন রে, বিড়ি-টানছিলি বুঝি?
ছাত্র: (বিড়ি লুকিয়ে) না মাস্টারমশাই। সকালে খেতে চাইলাম। মা রেগে গিয়ে বললে, তাের পেটে কী আগুন লেগেছে! তাই জল খেয়ে এসেছি। আগুন নিভে এখন ধোঁয়া বেরােচ্ছে।
কলকাতার এক রেস্টুরেন্ট-এর নববর্ষের বিজ্ঞাপন: আমাদের এখানে যে
কেউ খেয়ে যাবেন, বিল মেটাবার দায় রইল আপনার নাতির।
এমনতর বিজ্ঞাপন দেখে এক ভদ্রলোক মােগলাই আর কষা মাংস খেয়ে
মুখ ধুয়ে বের হতে যাবেন, এমন সময় বেঁয়ারা এসে বিল পেশ করল।
ভদ্রলােক বললেন, ‘সে কী? তােমাদের বিজ্ঞাপনে তাে এমন কথা লেখা নেই।
বেয়ারা হেসে বলল, ‘ঘাবড়াবেন না, এটা আপনার নয়, আপনার ঠাকুদার
বিল।
সমাস কর: মহিষাসুর, শাশুড়ি। মহিষাসুর হল, যে মহিষ সেই শ্বশুর। আর শাশুড়ি, সুর করিয়া শাসায় যে বুড়ি।
এক দম্পতি তাদের কুড়িতম বিবাহবার্ষিকীর দিনে একটি বিদেশী সিনেমা দেখতে গেলেন। সিনেমা শেষে বাড়ি ফিরে স্ত্রী খুব আবেগমথিত গলায় স্বামীকে বললেন, “সিনেমায় ছেলেটাকে দেখলে বউকে কী ভালােবাসে। তুমি অমন পারাে না। শুনে স্বামীটি উত্তর করলেন, খেপেছ? জানাে ওসবের জন্য ওরা কত টাকা পায়?
নরকে পৌছে নাম রেজিষ্ট্রি করবার লাইনে দাড়িয়ে দুই ভদ্রলােকের
কথােপকথন: আপনি কীভাবে মারা গেলেন?
আমি একটা আলমারির মধ্যে দমবন্ধ হয়ে মারা গেলাম। আর আপনি?
আমি অফিস থেকে বাড়ি ফিরে আমার স্ত্রীকে এক পুরুষের সঙ্গে খুবনিচু গলায় কথা বলতে শুনলাম। কিন্তু ঘরে ঢুকে তন্নতন্ন করে খুঁজেও কাউকে পেলাম না। তখন আমার স্ত্রীর ভর্ৎসনা, গঞ্জনা (তাকে মিথ্যে সন্দেহ করার জন্য) সহ্য করতে না পেরে গলায় গামছা বেঁধে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে সুইসাইড করলাম। হায়! আপনি যদি একটু বুদ্ধি খরচ করে আলমারিটা খুঁজে দেখতেন, তাহলে আমাদের দুজনের কাউকেই মরতে হত না।
এক মাতাল রােজই প্রচুর মদ খেয়ে মাঝরাতে বাড়ি ফেরে। তার বউ ঘুম থেকে উঠে দরজা খুলে দেয়। এমনই এক রাতে টলতে টলতে সে তার বাড়ির দরজার কাছে পৌছেছে। সেখানে তখন একটা গােরু দাঁড়িয়ে ছিল। নেশার ঘােরে মাতাল ভাবল, তার ফিরতে দেরি দেখে বােধহয় তার বউ তার জন্য অপেক্ষা করছে। তাই সে খুব গদগদ হয়ে গােরুর লেজটা ধরে আদর করতে করতে বলল, পিলুর মা, রােজ তুমি দুটো বিনুনি কর। আজ একটা কেনগাে?
এক মহিলা অন্য খরিদ্দারকে ধাক্কা দিয়ে ঢুকলেন লােহার জিনিসের
দোকানে। চেঁচিয়ে বললেন, একটা ইঁদুর ধরার খাঁচা দিন তাে, চটপট। আমাকে
ট্রেন ধরতে হবে। দোকানদার বললেন-সরি ম্যাডাম, অতবড়াে খাঁচা তাে
আমাদের কাছে নেই।
স্বামী-স্ত্রীর কথা বন্ধ। স্বামী রাতে টেবিলে চিরকুট রেখে শুতে গেলেন। চিরকুটে লেখাজরুরি কাজ আছে। ভাের চারটেয় ডেকে দেওয়া হয় যেন।
ঘুম যখন ভাঙল তখন সকাল সাতটা ধড়ফড়িয়ে উঠে স্বামী দেখলেন।
বালিশের পাশে চিরকুট। লেখা আছে, চারটে বাজে।
এ কী! দশ হাজার টাকার চেক কাকে পাঠাচ্ছ?
আমার বােনকে। জন্মদিনের উপহার।
কিন্তু চেকটাতে সই করােনি তাে!
না, মানে, বােনকে সারপ্রাইজ দিতে চাই। কে পাঠাচ্ছে তা ওকে জানতে দিতে চাই না।
একটি দূরপাল্লার ট্রেনের একটি কামরায় দু’জন মাত্র যাত্রী। একজন আর একজনের সঙ্গে আলাপ করতে চাইল। দাদা, আমি একজন কবি। আপনি ? আমি কালা।
শিক্ষকমশাই বললেন, তােমার রেজাল্ট এত খারাপ হল কেন জয়দীপ?
কাল বাবাকে একবার স্কুলে আসতে বলাে। তার সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।
কিন্তু, তার জন্য যে ফি লাগবে স্যার?
ফি? কীসের জন্য? শিক্ষকমশাই অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন।
আমরা বাবা যে উকিল। ফি ছাড়া কোনাে বিষয়ে কারও সঙ্গেই
পরামর্শ করেন না।
একটা কারখানায় এতদিন শুধু পুরুষরাই কাজ করত। নতুন ম্যানেজার
এসে সে নিয়ম ভেঙে মহিলাদেরও নিয়ােগ করলেন। কয়েকদিন পর, কে
কেমন কাজ করছে দেখতে এলেন তিনি। সবাইকে লক্ষ্য করলেন, সবকিছু
দেখলেন, বুঝলেন, তারপর অফিসে ফিরেই মহিলা কর্মীদের উদ্দেশে একটা
বিজ্ঞপ্তি জারি করলেন। তাতে লেখা ছিল, যদি আপনি ঢােলা পােশাক পরে আসেন, তাহলে মেশিনগুলি থেকে সাবধান থাকবেন। আর টাইট পােশাক পরে এলে সাবধান হবেন মেশিনম্যানদের থেকে।
বাচ্চারা হঠাৎ এমন কিছু কথা বলে যা একই সঙ্গে, কৌতুক ও লজ্জার
কারণ হয়ে দাঁড়ায় বড়ােদের কাছে। ট্রেনে একটি ছােট্ট ছেলের পাশে বসেছিল।
একজন পূর্ণগর্ভা মহিলা। বাচ্চাটি একথা-সেকথার পর হঠাৎ বলে বসে,
আচ্ছা, তােমার পেটটা এত উঁচু কেন গাে? ওতে কী আছে?
ভদ্রমহিলা বাচ্চাটির মুখ টিপে আদর করে বললেন, ওতে আছে আমার
আদরের সােনামণি, আমার ভালােবাসার ধন। তা শুনে শিশুটি বলল, যদি
এতই ভালােবাসাে তাকে, তাহলে তাকে খেয়ে নিলে কেন?
প্রথম বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে সঞ্জীব ও প্রতিমা এক স্টুডিয়ােতে ফোটে
তােলাতে গেছে। ক্যামেরায় চোখ রেখে একবার দেখে নিয়ে ফোটোগ্রাফার
সঞ্জীবকে বলল-আপনি যদি স্ত্রীর কাধে হাত রেখে ছবিটা তােলেন, তাহলে
ছবিতে বাস্তবতা বেশি ফুটে উঠবে।
উত্তরে সঞ্জীব বলল
ছবিটা আরও বাস্তবসম্মত হবে, যদি প্রতিমা ওর
হাতটা আমার শার্টের পকেটে ঢুকিয়ে রাখে।
টিভিতে ওয়ান-ডে ক্রিকেট চলছে। তা নিয়ে আলােচনায় মশগুল সবাই
তারই মাঝে ইংরেজির মাস্টারমশাই Adverb পড়াচ্ছেন। কিন্তু কিছুতেই
ছেলেদের মন দেওয়াতে পারছেন না। কোনাে না কোনাে ছুতােয় খেলার
কথা এসে পড়ছে বারবার। শেষে রাগ করে বললেন, এবার খেলা নিয়ে যে
একটি কথা বলবে, তাকে কান ধরে ওঠবােস করাব।
গােটা ক্লাসে হঠাৎই পিন-ড্রপ সাইলেন্স। খুশি হয়ে মাস্টারমশাই বললেন,
তাহলে তােমরা জানলে যে কোনাে word- এর শেষে যদি LY’ থাকে তাহলে সেই wordটি হবে Adverb’। এবার একটা উদাহরণ দাও তাে রাজু।
‘Sourav Ganguly, স্যার।
প্রথম বন্ধু: জানিস, কাল শীলার হাত ধরে ফটাফট দুটো চুমু খেয়ে
নিলাম।
দ্বিতীয় বন্ধু: চুমু খেলি তাে হাত ধরলি কেন?
প্রথম বন্ধু: না হলে আমার গালে পাঁচ আঙুলের দাগ বসিয়ে দিত যে।
ছেলে: মা, একটা ছেলে আর একটা মেয়ে বােলতা ঘরে ঢুকেছে।
মা: কী করে বুঝলি?
ছেলে: মেয়েটা তােমার মতাে ড্রেসিং টেবিলের সামনে ঘুরঘুর করছে।
আর ছেলেটা বাবার মদের বােতলে বসে আছে।
বিদ্যুৎ চমকায় কেন?
অভিসারিকার পথ দেখবার জন্য।
He killed a Man’– এটা কি case?
Murder Case স্যার।
দেব আর অসুরের সন্ধি করাে।
সম্ভব নয়। স্বয়ং ব্রহ্মাই পারেননি।
অষ্টাদশ শতাব্দীর বিখ্যাত দার্শনিকদের সম্বন্ধে কী জানাে?
তারা এখন সবাই-ই পরলোকে
প্রেমিকা: তুমি কি তাহলে বাবাকে আমাদের প্রেমের ব্যাপারটা বােঝাতে
পেরেছ?
প্রেমিক: ইা, সরাসরি না বললেও হাবেভাবে তাে চেষ্টা করলুম খুব।
প্রেমিকা: কী বললে?
প্রেমিক: বললাম, তুমি খুবই ভালাে মেয়ে। তােমার কথা ভেবে রাতে
আমার ঘুম হয় না।
প্রেমিকা: শুনে বাবা কী বললেন?
প্রেমিক: বললেন আমি ইচ্ছা করলে ওঁর নাইট ডিউটির একটা পােস্টে
জয়েন করতে পারি
সমুদ্র সৈকতে। হঠাৎ এক পাগলকে দেখা গেল তার জামাকাপড় হাতে
নিয়ে উলঙ্গ অবস্থায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। সকলেরই অস্বস্তি, কিন্তু পাগল বলে কথা। কে কি বলতে যাবে? এক ভদ্রলােক সাহস করে এগিয়ে গিয়ে বললেন কী ব্যাপার। তুমি জামাকাপড় হাতে নিয়ে এভাবে ঘুরছ কেন? আসলে আমি একটা ভালাে ঝােপঝাড় পাচ্ছি না যে তার আড়ালে
গিয়ে জামাকাপড়গুলাে পরে নেব।-পাগলের উত্তর।
অপারেশন রুম থেকে আপনি পালিয়েছিলেন কেন?
নার্স বলছিল, ভয় পেয়াে না, অ্যাপেণ্ডিসাইটিসের চেয়ে সহজ
অপারেশন আর কিছু নেই।
ঠিকই তাে বলেছে।
হ্যা। তা ঠিক। তবে সে কথাটা বলেছে নতুন ডাক্তারবাবুকে, আমাকে
নয়।
দেখুন মশাই, আপনার ছেলে আমায় লক্ষ্য করে একটা টিল ছুঁড়েছে।
টিলটা আপনার গায়ে লেগেছে কি?
না, তবে আর একটু হলেই লাগত।
তাহলে ওটা আমার ছেলে নয়। অন্য কেউ ছুঁড়েছে।
শিক্ষক: সরস্বতী হলেন বিদ্যার দেবী। তাঁর চরণতলে আশ্রয়। পেয়ে যে
কেউই বিদ্যাসাগর হয়ে উঠতে পারে।
ছাত্র: তাহলে হাঁস বেচারা সারাটা জীবন শুধু প্যাক প্যাক করা ছাড়া
কিছুই শিখল না কেন স্যার?
বলতে পারাে বিনয়, বাদল আর দীনেশের পুরাে নাম, মানে পদবি কী?
এঁদের তিনজনেরই পদবি ছিল বাগ’।
কী ব্যাপার, অনেক দিন দেখিনি আপনাকে?
আমি তাে ছুটিতে ছিলাম।
ও! যাক এখন থামিয়াছেন তাে?
আচ্ছা মা, তােমার কাছে আমার দাম কত?
লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি টাকা।
তাহলে তার থেকে আমাকে মাত্র দুটো টাকা দেবে, আইসক্রিম খাব।
গিন্নি: আমি যা বলি, তা তােমার এক কান দিয়ে ঢােকে আর অন্য কাল
দিয়ে বেরিয়ে যায়।
কর্তা: ঠিক বলেছ। তবে তােমাতে আমাতে তফাৎ এই যে, আমি যা বলি
তা তােমার দু কান দিয়ে ঢােকে আর খই ফোটার মতাে মুখ দিয়ে বেরিয়ে
শিক্ষক: মনে রেখাে তােমরা, সব বিষয়ে প্রথম হওয়া যায় না। মহৎ এবং
বিখ্যাত ব্যক্তিদেরও মাঝে মাঝে দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্থান মেনে নিতে হয়েছে।
এক বেয়াড়া ছাত্র: আপনি কি জর্জ ওয়াশিংটন সম্বন্ধেও এই একই কথা
বলছেন? তিনি রাষ্ট্রপতি হিসাবে প্রথম যুদ্ধতেও প্রথম, শান্তি স্থাপনেও প্রথম
এমনকী জনগণের হৃদয়েও তিনি প্রথম স্থানে….
শিক্ষক: তুমি ঠিকই বলেছ। কিন্তু মনে রেখাে, তিনি এক বিধবাকে বিয়ে
করেছিলেন।
ললিতা। কয়েকজন ভদ্রলােক আসছেন নেমন্তন্ন খেতে। ভালাে করে
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে সেজেগুজে এসাে। তাঁদের সামনে যেন তােমাকে
হাজির করানাে যায়।
কেন তারা কি আমাকেই খাবেন?
একটা ছেলে একটা গাধার কান ধরে টানতে টানতে সৈন্য ছাউনির
পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। সৈন্যরা মজা করার উদ্দেশে ছেলেটিকে বলল – টনি, তোমার ভাইকে কোথায় নিয়ে চললে?
ছেলেটি চটপট জবাব দিল, ‘আর বলাে না, এ সৈন্যদলে যােগ দিতে
চাইছে। কী যে করি।
টিনার পরীক্ষার ফল দেখে বাবা একেবারে অগ্নিশর্মা। চিৎকার করে বকতে
লাগলেনএমন রেজাল্ট কখনও দেখিনি। রিপার্ট কার্ডে এমন মন্তব্য কখনও
পড়িনি। লেখা আছে তুমি মূর্তিমান বিভীষিকার একটা ছােটোখাটো সংস্করণ।
এর মানে কী?
এর মানে আমি বড়াে মূর্তিমান বিভীষিকার মেয়ে।
এই ইরানি জমিদারকে তার এক চাষি একটি ঝলসানা মুরগি আর এক
বােতল ফলের রস উপহার পাঠিয়েছিল। জমিদার তার চাকরটিকে ডেকে
বললেন, এগুলাে বাড়িতে রেখে আয়। জমিদার জানতেন চাকরটি খুবই
বুদ্ধিমান, কিন্তু ভীষণ পেটুক। তাই তাকে মিথ্যা করে বললেন, ওই পাত্রে
কাপড়ে ঢাকা একটা পাখি আর বােতলে আছে বিষ। তুই বাড়ি পৌঁছবার
আগে ভুলেও কাপড়টা খুলবি না, তাহলে পাখিটা উড়ে পালাবে। আর
শিশির তরলে হাত পর্যন্ত দিবি না, তাহলে হাত পুড়ে যাবে। বাড়ি ফিরে জমিদারের চক্ষু চড়কগাছ। চাকরের হাতে পাঠানো খাবার গুলি পৌছায়নি। ক্রদ্ধ হয়ে চাকরের সন্ধানে বেরিয়ে দেখেন একটা গাছের তলায়
সে অঘােরে ঘুমােচ্ছে। তাকে ডেকে তুলে জমিদার খাবারের কথা জিজ্ঞেস
করলেন। সে বলল, প্রভু আপনার কথামতােই আসছিলাম। কিন্তু মাঝপথে এক ঝােড়াে হাওয়ায় কাপড়টা উড়ে যেতেই পাখিটা পালায়, আর আপনি
একথা জেনে রাগ করবেন বলে ভয়ে বােতলের বিষ পুরােটাই খেয়ে এখন
মৃত্যুর অপেক্ষায় পড়ে আছি।
ফ্রান্সের এক অশিক্ষিত জমিদার তার খামার বাড়িতে ছুটি কাটাতে
গিয়েছিলেন। একদিন তিনি ঘােড়ায় চড়ে বেরিয়ে দেখলেন এক জায়গায় খুব
ভিড়। খোঁজ নিয়ে জানলেন সেখানে পাঁচশাে ফ্রার (ফরাসি মুদ্রার) বিনিময়ে
ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হচ্ছে। যারা কোনােরকমে টিপ ছাপ দিতে পারে আর
ওই টাকাটা দেয়, তারা সঙ্গে সঙ্গেই ওই ডিগ্রি পেতে পারে।
জমিদার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় ঠেলে সেখানে পৌঁছে পাঁচশাে ফ্রা আর একটা
টিপ ছাপ দিয়ে ডিগ্রি নিয়ে এলেন। ফেরার পথে তাঁর হঠাৎ মনে হল আর
পাঁচশাে ফ্রাঁ দিয়ে তাঁর প্রিয় ঘােড়াটাকেও ডক্টরেট করা যেতে পারে। হাতের
বদলে সে না হয়, পায়ের টিপ ছাপই দেবে। সঙ্গে সঙ্গে অবার ফিরে গেলেন
সেখানে। যারা ডিগ্রি দিচ্ছিল, তাদের বললেন, সে কথা। তারা বলল, সরি
স্যার। আমরা শুধু গাধাদেরই ডক্টরেট দিয়ে থাকি, ঘোড়াদের নয়।
কর্তা ছেলেটিকে জামাই হিসাবে পছন্দ করেছেন। কিন্তু গিন্নির পছন্দ নয়।
একটা না একটা খুঁত ধরছেন তিনি। শেষে বললেন ছেলেটার মাড়িটা।
দেখেছ? হাসলে কালাে মাড়ি বেরিয়ে কী বিশ্রী দেখায়।
ও জন্য কিছু চিন্তা কোরাে না গিন্নি। তােমার মেয়েকে বিয়ে করলে ও হাসবার সুযোগই পাবে না জীবনে। কর্তার উত্তর।
তাহলে আপনি স্বীকার করেছেন যে মদ খেয়ে মাঝরাত্তিরে ওই বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকেছিলেন?
হ্যা, ধর্মাবতার। আসলে আমি ভেবেছিলাম, ওটা আমারই বাড়ি। তাই যদি হয়, তাহলে ওই ভদ্রমহিলাকে দেখে আলমারির পিছনে লুকোলেন কেন?
Best Bangla Jokes Of All Time
ওই একই খাতা দেখার পর দিদিমণি বললেন, আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি, কী করে একজন এত ভুল করতে পারে।
একজন নয় ম্যাডাম–আমার মা আমাকে অঙ্কগুলাে করতে সাহায্য করেছিলেন।রানার সখেদ উত্তর।
বাবা: আজ স্কুলে কী শিখলি জ্যাকি ?
জ্যাকি: তুমি যে বানানগুলাে লিখে দিয়েছিলে সেগুলাে সব ভুল।
দিদি, আমার অঙ্ক গুলো একটু করে দাও না।
না বােন, তা ঠিক হবে না।
তা জানি, তবে চেষ্টা করতে দোষ কী?
স্ত্রী: আচ্ছা, আমি যখনই গান গাইতে বসি, তখনই তুমি বারান্দায় চলে
যাও কেন বল তাে? আমার গান তােমার ভালাে লাগে না বুঝি!
স্বামী: না না তা নয়। আসলে প্রতিবেশীরা যাতে ভুল না ভাবে যে আমি তােমাকে পেটাচ্ছি, তাই।
শিক্ষক: ‘রাম চুরি করেছে ভবিষ্যৎকালে এটা কী হবে?
ছাত্র: রাম ধরা পড়লে গণধােলাই খাবে। ধরা না পড়লে আবার চুরি করবে।
মউ, তােমায় আমি পাগলের মতাে ভালােবাসি।
একথা জয়ও বলে।
বিশ্বাস কর, তুমি বললে পারি না এমন কোনাে কাজ নেই।
এটাও জয় বলে।
তােমায় না পেলে দুঃখে আমি পাগল হয়ে যাব।
এটা তাে জয়েরই কথা।
তােমায় যে কী রে বােঝাই-দিবারাত্র শুধু তােমার কথাই আমি
ভাবি মউ।
জয় যে কতবার এটা বলেছে আমায়।
রাতে শােওয়ার আগে তােমার মুখটাই মনে পড়ে আমার। ঘুম থেকে উঠেও…
এটাও তাে জয় প্রায়ই বলে।
উফ, কিন্তু আমি যে জয়-এর থেকে আধঘণ্টা আগে ঘুম থেকে উঠি মউ
এক বড়াে পকেটমারকে পুলিশ ধরার পর তার জামা প্যাণ্টে একটাও পকেট খুঁজে না পেয়ে বলল, জামা প্যান্টের পকেট করেননি কেন?
পকেটমার বলল, বউ-এর জন্যে স্যার ও আমার থেকেও বড়াে পকেটমার।
নজরদার (পরীক্ষার হলে): তােমার কাছে পুরিয়া নেই তাে?
পরীক্ষার্থী (প্রশ্নপত্রটি একনজরে দেখে নিয়ে) : আছে স্যার, তবে আসেনি।
শিক্ষিকা: আজ বাড়ি ফিরে তােমরা বাবা-মার কথােপকথন শুনবে। তার মধ্যে নতুন যে ইংরেজি শব্দ পাবে তার অর্থ অভিধানে দেখে নিয়ে তা দিয়ে একটা বাক্যরচনা করে কাল আমাকে দেখাবে।
পরদিন স্কুলে।
শিক্ষিকা: কাল যে টাস্ক দিয়েছিলাম, করে এনেছ সবাই?
ছাত্র: ইয়েস ম্যাম। কাল রাত্রে মা বাবার মধ্যে একটাই নতুন শব্দ পেয়েছি Pregnant I মানে দেখলাম — To carry a child.
শিক্ষিকা ভেরি গুড। তা বাক্যরচনা করেছ?
ছাত্ৰ: ইয়েস ম্যাম। The Fire brigade man rescued
a child from the upper floor of a blazing house and came down pregnant.
অরুণ হনিমুন সেরে বউকে নিয়ে তুলল যৌতুকে পাওয়া বিলাসবহুল সুসজ্জিত ফ্ল্যাটে। একদিন শপিং শেষে ফিরে দরজা খুলতেই তারা দেখে একটা খাম পড়ে আছে মেঝেয়। খাম খুলে অরুণ দেখল তাতে রয়েছে দুটো
সিনেমার টিকিট (পরদিন সন্ধ্যার শাে-এর) আর একটা চিঠি ভাই অরুণ,
বউভাতে আসতে পারিনি। দুটো টিকিট রেখে গেলাম। কাল সন্ধ্যের তিনটে ঘণ্টা তােরা দুজনে আনন্দে কাটাবিএই আমার উপহার। ইতি–‘
পরদিন অরুণ বউকে নিয়ে সিনেমায় গেল। ফিরে এসে দেখল ঘরের সব দামি জিনিস উধাও। শুধু একটা চিঠি পড়ে রয়েছে মেঝেয়। তাতে লেখা-
ভাই অরুণ, তিন ঘণ্টার যতটা সম্ভব নিয়ে গেলাম।
পুত্র খুব ভালাে ছাত্র। তথাপি সে অঙ্কে খুবই কম নম্বর পাওয়ায় হতাশ
পিতা: বৎস, তুমি অঙ্কে কেন এত খারাপ করিয়াছ?
পুত্র: পিতাশ্রী, এবারের প্রশ্নপত্রেই গলদ ছিল।
পিতা: কীরূপ গলদ? একটিমাত্র নমুনা দাও।
পুত্র: একটি অঙ্ক এইরূপএক সুঁড়ি অর্দ্ধ বােতল মদ্যে অর্দ্ধ বােতল গঙ্গোদক মিশ্রিত করিয়া ২৫ টাকায় বিক্রি করিল। অর্দ্ধ বােতল মদ্যের মূল্য ১০ টাকা হয় এবং প্রতি বােতলে প্রতি লাভ ৫ টাকা হয়, তাহা হইলে নির্ণয় করাে গঙ্গোদকের মূল্য কত?
পিতা ও তুমি কী করিয়াছ পুত্র?
পুত্র: পিতাশ্রী, একেই মদ্য, তাহাতে আবার জল মিশ্রিত- অঙ্কটি আমি স্পর্শও করি নাই।
পাত্রী দেখতে এসেছেন পাত্রের কৃপণ বাবা। পাত্রী সামনে বসে।
বাবা: তােমার নামটি কী মা?
পাত্রী: চন্দ্রকলা দে।
বাবা ও বাঃ, বেশ সঞ্চয়ী নাম। কলায় কলায় বৃদ্ধি পাবে। তবে ওই দে মানে দেওয়ার ব্যাপারটা যেন চন্দ্রকলার সঙ্গে মানায় না। সঞ্চয়ের সঙ্গে ক্ষয় না না, এটা মেনে নেওয়া যায় না। চন্দ্রকলা দে না বলে তুমি বরং চন্দ্রকলা দেবী বলবে।
পাত্রপক্ষ পাত্রী দেখার পর কবজি ডুবিয়ে খেতে বসেছেন।
পাত্রীর বাবা ও প্রতিটি পদই আমার কন্যা নিজের হাতে রান্নার বই দেখে দেখে রেঁধেছে। কেমন হয়েছে বলুন। পাত্রের বাবা ও ভালােই। তবে, আপনার কন্যাকে বলবেন, ওই বইটিতে প্রচুর বানান ভুল আছে।
Latest Bengali Jokes For Whatsapp
এক শহরে ফ্ল্যাট মালিক খাঁটি দুধ-ঘি খাবেন বলে গ্রাম থেকে একটি দুধেল গাই নিয়ে এলেন। মুশকিল হল, গ্রামের মাঠে চরে সবুজ ঘাস খেতে অভ্যস্ত গােরু খড় খেতে নারাজ। অথচ শহরে ঘাস প্রায় দুর্লভ এবং মহার্ঘ। মালিক তাই এক ফন্দি আঁটলেন। পরদিন দেখা গেল গরু বাধ্য ছেলের মতাে সােনামুখ করে খড় খাচ্ছে। শুধু তার চোখে পরানাে হয়েছে এক গাঢ়
সবুজ কাচের গগল্স।
সিনেমার শুটিং চলছে। একটি দৃশ্য টেক করার আগে পরিচালক নায়ককে ডেকে বললেন, ওই যে পাহাড়টা দেখছ, এবার ওখান থেকে তােমায় লাফিয়ে পড়তে হবে নীচে। উঁচু পাহাড় দেখে হতভম্ব নায়ক বললেন, যদি পড়ে গিয়ে চোট লাগে কিংবা মরেও তাে যেতে পারি। উত্তরে পরিচালক বললেন, ‘কোনাে অসুবিধা নেই, এটাই তাে শেষ দৃশ্য।
লাইব্রেরিয়ান: আপনি ঠিক কোন্ ধরনের বই পছন্দ করেন ভারী না হালকা গোছের।
পাঠক: ভারী হলেও অসুবিধে নেই, আমার সঙ্গে একটা গাড়ি তাে আছেই।
একজন কোম্পানী ডাইরেক্টর তাঁর অবিবাহিত কন্যাদের জন্য কিছু কিছু টাকা করে গচ্ছিত রেখেছেন। অফিসে কথা প্রসঙ্গে একদিন তিনি বললেন, আমি আমার ছােটো মেয়ের জন্য ২০ হাজার টাকা রেখেছি। ওর বয়সও ২০। তার উপরের মেয়ের জন্য ৪০ হাজার রেখেছি, ওর বয়স এখন ২৫। তার উপরের মেয়ে লিলি, ওর বয়স ৩०। লিলির জন্য রেখেছি ৮০ হাজার।
তা শুনে এক উৎসাহী কর্মী প্রশ্ন করে বসলেন, স্যার, লিলির চেয়ে বড়ো কোনাে কন্যা আপনার আছে?
এক ভদ্রলােক তাঁর সাধের পােষা কুকুরটিকে হারিয়ে ফেললেন। যেজন্য
মনের দুঃখে তিনি একটি বহুল প্রচারিত দৈনিকে বিজ্ঞাপনই দিয়ে বসলেন। তাতে বলা হল যে ব্যক্তি কুকুরটি সন্ধান দিতে পারবেন, তাকে পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। বিজ্ঞাপনটি প্রকাশিত হওয়ার চার-পাঁচ দিন বাদে ভদ্রলােক দৈনিকটির অফিসে গেলেন খোঁজ নিতে, যদি কোনাে প্রাপ্তিসংবাদ পাওয়া যায়, এই আশায়। গিয়ে দেখেন ভরদুপুরে অফিস একেবারে খালি,
একটি মাত্র পিওন বসে আছে। তিনি তখন অবাক পিওনটিকে নিজের কথা বলে জিজ্ঞেস করলেন, অফিসের এই দশা কেন বলতে পারেন?’ পিওনটির জবাব, আসলে সকলেই যে আপনার কুকুরটাকে খুঁজতে বেরিয়ে পড়েছেন।
সারা দেশে সংবাদপত্রের একটি খবর একবার বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করল– ভারতের একটি নামজাদা শহরে পানীয় জল নাকি মূত্র মিশ্রিত হয়ে দূষিত হয়ে পড়েছে। খবরটি পড়ামাত্র সবাই তাে ছ্যা ছ্যা করতে লাগল দেশের কী হাল! প্রশাসনের নিন্দায় তখন কান পাতা দায়। পরদিন ওই শহরের কর্পোরেশন কমিশনার কিন্তু একটি ভরা টেলিগ্রাম পেয়েছিলেন, তাতে লেখা ছিল প্রধানমন্ত্রী হয়ে আমি যা পারিনি একজন কমিশনার অন্তত তা করে দেখালেন। ধন্যবাদ আপনাকে।- মোরারজি দেশাই।
আরও পড়ুনঃ গল্পঃ প্রেম
এক পিতা তার ষােড়শী কন্যার টেলিফোন কলে অতিষ্ঠ হয়ে মন্তব্য করছিলেন, আমি নিশ্চিত গ্রাহাম বেলের যদি কোনাে অল্পবয়েসি কন্যা থাকত তবে তিনি কিছুতেই টেলিফোন নামক যন্ত্রটি আবিষ্কার করতেন না।
একটি পাবলিক বুথে এক ভদ্রলােক ফোন করতে ঢুকলেন। কুড়ি মিনিট বাদে কোনাে কথা না বলে ফোন ছেড়েও দিলেন। কাউন্টারের ভদ্রলােকটি এতক্ষণ তাকে নজর করছেন। পয়সা দিতে ভদ্রলােক যখন তাঁর কাছে এলেন তিনি কৌতূহল মেটাতে জিজ্ঞেস করেই ফেললেন, একটা কথা বলব, কিছু
মনে করবেন, স্যার?
বলুন। মানে আপনি যে এতক্ষণ ফোন ধরে রইলেন, একটা কথাও তাে বলেন না। উত্তরে ভদ্রলোক বললেন, আসলে ওপাশে আমার স্ত্রী কথা বলছিলেন।
Very Funny Jokes In Bengali
নতুন বাড়ি তৈরি চলছে। লম্বা ভারা বেঁধে মজুররা কাজে ব্যস্ত। হঠাৎ উপরতলার ভারা থেকে একটা মজুরের হাত ফসকে একটা কর্নিক নীচে পড়ে গেল। আর পড়বি তো পর, একেবারে আরেক মজুড়ের কানের উপর।
ধারালাে কর্নিকের ঘায়ে তার কান ছিড়ে মাটিতে গড়াগড়ি।কাজ ফেলে কাটা কান খুঁজতে তখন চারপাশ তােলপাড়। কিছুতেই আর পাওয়া যায় না। অথচ তাদের ধারণা কানটা পাওয়া গেলে ডাক্তারবাবুর জোড়া লাগাতে আর
কতক্ষণ! হঠাৎ একজনের চোখে পড়ল সেই কান দূরে কোথায় ছটফটাচ্ছে। পেয়েছি পেয়েছি’ বলে সে তক্ষুণি ছুটে গেল ‘কান কাটা মজুরটির কাছে।
দেখেশুনে সেই মজুরটি বলল, এটা তাে আমার নয়। আমার কানের ডগায় যে একটা পেন্সিল গোঁজা ছিল।
একজন বেশ মান্যগণ্য ব্যক্তি মানসিক হাসপাতাল পরিদর্শনে এসেছেন। হঠাৎ তাঁর কী দরকার, একবার বাড়িতে ফোন করতে হবে। তাে, অপারেটরকে লাইনটা দিতে বললেন। অপারেটর অনেকক্ষণ চেষ্টা করেও লাইন পাচ্ছেন না। এদিকে অনেকক্ষণ চলে যাচ্ছে দেখে সেই ব্যক্তি রীতিমতাে ধমকের সুরে বললেন, লাইন পাচ্ছেন না আবার কী, জানেন আমি কে? অপারেটর মহিলাটি শান্ত গলায় বললেন, না, তা জানি না, তবে এটুকু জানি যে এই মুহূর্তে আপনি ঠিক কোথায় আছেন।
একবার জওহরলাল নেহরু একটি মানসিক হাসপাতালে
পরিদর্শনের জন্য আমন্ত্রিত হলেন। সেখানে পৌঁছে তিনি আবাসিকদের বললেন, শুনুন, আমি জওহরলাল নেহরু বলছি। এই হাসপাতাল সম্বন্ধে যদি কোনাে অভিযােগ আপনাদের থাকে আমায় বলতে পারেন। তা শুনে একজন রােগী বলেন, দেখুন যে রােগীই আসেন প্রথমেই সে নিজেকে নেহরু, গান্ধি এসব বলে পরিচয় দেন। চিন্তা নেই আপনার, সুস্থ হয়ে গেলে আর ভুল বকবেন না। আপনার দ্রত আরােগ্য কামনা করি।
একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এক নামজাদা ডাক্তারকে প্রশ্ন করা হল, ‘আপনি আপনার চিকিৎসাজীবনে বড়াে ধরণের কোনাে ভুল করেছেন?’ প্রশ্নটি শুনেই ডাক্তার বলেন, হ্যা করেছি বটে। একবার এক ক্রোড়পতিকে মাত্র তিনবার দেখেই সারিয়ে তুলেছিলাম।
প্রথম সৈনিক: এখন কেউ আমায় বিরক্ত করিস না, প্রেমিকাকে চিঠি লিখছি।
দ্বিতীয় সৈনিক: তা লিখছিস লেখ। এত ধীরে কেন বৎস।
প্রথম সৈনিক: কী করব ও যে দ্রুত পড়তে পারে না।
বুদ্ধুরামকে সবাই চেনে তার বুদ্ধির দৌড়ের জন্য। তাে সেই বুদ্ধুরাম একবার মুম্বই -এর ব্রিচক্যাণ্ডি হাসপাতালের সামনে বসে খসখস করে কিছু লিখছিল। এক পর্যটক দম্পতি তাকে দেখতে পেয়ে বলল, আরে বুদ্ধু, কী ব্যাপার এখানে কী করছ?’ বুদ্ধুর জবাব, ‘কাল রাতে আমার একটা বাচ্চা
হয়েছে। তারই বার্থ সার্টিফিকেট ভর্তি করছি।’ তা শুনে সেই দম্পতি চলে গেল। এবারে তাদের গন্তব্যস্থল দিল্লী। দিল্লিতে লালকেল্লায় পৌছে আবার
তারা দেখে বুদ্ধুরাম সেই সার্টিফিকেট নিয়ে বসে মন দিয়ে লিখছে। ‘কী ব্যাপার এখানে কী?’ ‘আরে দেখুন না, ফর্মে লেখা Fill in the capital- তাই একবার রাজধানীতে আসতেই হল।”
তিন রাজনৈতিকএকজন ইংরেজ, একজন মার্কিন, একজন বাঙালি। এদের প্রত্যেককেই একবার তাদের ভাষণের সত্যি-মিথ্যা যাচাই করতে লাই ডিটেকটারে চাপানাে হবে। তাে প্রথম ইংরেজ উঠলেন। বললেন, আমরা দেশবাসীর স্বাস্থ্য সেবার জন্য সারা দেশে দুশােটি নতুন স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়েছি।
লাই ডিটেকটার যন্ত্র তখনই ব্যা ব্যা করে বেজে উঠল। অর্থাৎ ডাহা মিথ্যা।
ইংরেজকে আর একবার, সুযােগ দেওয়া হল। এবারে তিনি বললেন, না দুশােটি নয় কুড়িটি। এবার যন্ত্র চুপ। অর্থাৎ সত্যি কথা। এবারে মার্কিনের পালা। তিনি বললেন, আমরা দেশবাসীর স্বাস্থ্য পরিকল্পনায় চারশােটি নতুন সাস্থকেন্দ্র গড়েছি। সঙ্গে সঙ্গে ব্যা ব্যা। মার্কিন এবার শুধরে নিলেন
চারশােটি নয় চল্লিশ।-এবারে বাঙালি। আমরা মানুষের স্বাস্থ্য বিষয়ক
উন্নতিকল্পে.. আর কিছু বলার আগেই যন্ত্রটি বেজে উঠল-ব্যা ব্যা ব্যা ব্যা…. কিছুতেই আর তাকে থামানোে গেল না।
Bengali Husband Wife Jokes
বুদ্ধুরামের খুব মন খারাপ। বন্ধু বলল, কী হয়েছে?
দ্যাখ না বাজি লড়ে আটশাে টাকা খুইয়েছি।
কী করে?
কাল ইণ্ডিয়া-অস্ট্রেলিয়া ওয়ান ডে-টায় পাঁচশাে বাজি ধরেছিলাম।
ভেবেছিলাম ইণ্ডিয়া জিতবে! হল কই?
তাহলে আটশাে বলছিস কেন? পাঁচশাে বল।
আরে আমি যে হাইলাইটসটাতেও তিনশাে টাকা ধরেছিলাম। তাতেও
যে….
শহরের রাস্তা। ভর সন্ধেতে হঠাৎ খুব জ্যাম। অফিসফেরতা এক গাড়িচালক বিরক্ত হয়ে কাছেই দাঁড়ানাে এক পুলিশ অফিসারকে জিজ্ঞেস করলেন, হঠাৎ এত জ্যাম? কী হয়েছে দাদা? অফিসার বললেন, আজকেই কোর্টে আমাদের এক্স মিনিস্টারের বিরুদ্ধে মামলার রায় বেরিয়েছে। তা শুনে তিনি রাস্তার উপর শুয়ে পড়েছেন। হুমকি দিচ্ছেন, গায়ে পেট্রোল ঢেলে নিজেকে পুড়িয়ে মারবেন। কোর্টের রায় অনুযায়ী বকেয়া ৮৫ কোটি টাকা তার নেই। আমরা
তাঁর জন্য সংগ্রহে নেমেছি। জবাবে চালকটি বললেন, তাই নাকি তা প্রাপতি কত হল আপনার? অফিসার বলেন, এ পর্যন্ত?..দশ লিটার।
সুনীল গাভাসকার হঠাৎ শুনলেন অস্ট্রেলিয়ায় সিনেমা হলে একটা ফিলম খুব রমরম করে চলছে, যার নাম গাভাসকার। শুনে তিনি তাে ভীষণ খুশি। একবার সে দেশে গিয়ে সিনেমাটা না দেখলেই নয়। আর যা কথা সেই কাজ।
কিন্তু সিনেমাটি দেখার পর গাভাসকর বেশ রেগে গেলেন। তক্ষুনি পরিচালককে ডেকে বললেন, কী ব্যাপার, আমার নামে ছবি করেছেন অথচ সেখানে আমাকে নিয়ে একটি শব্দও বলেননিএ কেমন অভদ্রতা। শুনে পরিচালকটি বলেন, তাহলেই বুঝুন, আপনারা যখন বর্ডার নাম দিয়ে সিনেমা করেন। সেখানে অ্যালান বর্ডারকে নিয়ে কটা কথা বলেছেন?
সারা গ্রামে রটে গেছে বুদ্ধুরামের গাধা হারিয়েছে। এদিকে বৃদ্ধু হাত জোড় করে আকাশের দিকে চেয়ে ভগবানকে অশেষ ধন্যবাদ দিচ্ছে। তা দেখে এক বৃদ্ধ বললেন, কী গাে গাধা হারিয়েছে। এদিকে তুমি বসে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিচ্ছ! এ কেমন ব্যাপার ? বুদ্ধুর জবাব, ‘দেবনা? ঈশ্বরের কী অসীম করুণা!
গাধাটার পিঠে ভাগ্যিস তখন আমি ছিলাম না। তাহলে তাে এখন আমারও খোঁজ মিলত না।
দুই ভাই। একজনের বয়স আট, অপরজনের দশ। দু জনেই মহা বিচছু। শহরের লােকজনের তাদের নিয়ে হায়রানির একশেষ। আজ এর জানলার কাঁচ ভাঙছে তাে পরশু তার বাড়ির কুকুর চুরি হচ্ছে, কী কারও ছেলের মাথা ফাটছে, এমনি আরও কত! তবু দুই ভাইয়ের বিচ্ছুমি থামে না। শেষে তাদের বাবা মা ঠিক করলেন, ওদের চার্চে যাজকের কাছে দিয়ে আসবেন। বাইবেল
থেকে যীশুর বাণী শুনে যদি তাদের মতিগতি ঠিক হয়। তাে তাই হল। প্রথমে, ছােটভাইকে চার্চে নিয়ে যাওয়া হল। যাজক ডাকলেন তাকে। তারপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘বলাে, ঈশ্বর কোথায়? শুনে ছেলেটি চুপ। কিছুই বলে না। যাজক আবার বললেন, কী হল, বলাে ঈশ্বর কোথায় ?’ ছেলেটি এবারও চুপ। যাজক গেলেন ক্ষেপে, গলা চড়িয়ে চিৎকার করে বললেন, ‘তােমায় তখন থেকে একটি প্রশ্ন করছি। শুনতে পাচ্ছ না?
বলাে, ঈশ্বর কোথায় ?’ এবার চিতকার শুনে থতমত খেয়ে চেয়ার টেবিল উলটেপালটে ফেলে ছােটোভাই দে দৌড়। একেবারে বাড়ি। ভয়ে ঠকঠক করে কাঁপতে বড়ভাইয়ের ঘরের খাটের তলায় লুকিয়ে পড়লো সে। বহুক্ষণ বাদে ওই অবস্থায় তাকে আবিষ্কার করে বড়ােভাই বলল, কী রে কী হয়েছে?
ছােটোর জবাব, জানিস দাদা, ঈশ্বর হারিয়ে গেছেন, তাতে সবাই ভেবেছে।
এর পিছনে আমরা আছি। আমাদের সকলে খুঁজছে। এবার কী হবে?
পরীক্ষার খাতা পেয়ে উত্তেজিত এক ছাত্র অধ্যাপককে বলল, ‘বিশ্বাস হচ্ছে না আপনি কী করে আমায় শূন্য দিলেন। আমি কী শূন্য পাওয়ার যােগ্য? অধ্যাপকটি উত্তরে বললেন, না-ই তাে। কিন্তু কী করি , এর নীচে দেওয়ার আমার তাে অনুমতিই নেই।
পুরুষের চেয়ে মহিলা দন্ত চিকিসকই আমার বেশি পছন্দের?
কেন, কেন?
কেননা ওই একটা মাত্র জায়গাতেই কোনাে মহিলাকে বলতে শুনি, নিন এবার মুখ খুলুন’আমার শুনতে বেশ লাগে।
ডাক্তার: এ সপ্তাহে আপনাকে অনেক সুস্থ লাগছে।
রুগী: সত্যিই তাই স্যার। আসলে যে ওষুধের শিশিটা দিয়েছিলেন তার গায়ে লেখা নির্দেশটা একেবারে হুবহু মেনেছি কিনা।
ডাক্তার: বাঃ, খুব ভালাে কথা। তা কোন্ নির্দেশটা বলছেন বলুন তাে?
রুগী: শিশির উপরে লেখা ছিল ‘ছিপিটা সবসময় ভালােরকম বন্ধ রাখবেন।
এক চর্মচিকিৎসককে তার বন্ধু জিজ্ঞেস করল, আচ্ছা, ডাক্তারির এত বিষয় থাকতে তুই হঠাৎ এই স্কিন-স্পেশ্যালিস্ট হতে গেলি কেন বলতাে?
ডাক্তারের জবাব, এর পিছনে কম করে তিনটে যুক্তি আছেএক, এই একটা মাত্র জায়গাতেই রুগীর জন্য রাতবিরেতে কেউ ডাক্তারকে ঘুমের
ব্যাঘাত ঘটান না। দুই, চর্মরােগে কোনাে রুগী মারাও যায় না। আর তিন, এ রোগ কস্মিনকালে সারেও না।
কী হল, অমন করে লাফাচ্ছ কেন?
আসলে এই মাত্র ওষুধ খেয়েছি। তার আগে শিশিটা ঝাকানাের কথা ছিল, ভুলে গেছি।
রুগী ও আপনি এত করলেন, কী দিয়ে যে আপনার ঋণ শােধ করব ভেবে পাচ্ছি না!
ডাক্তার: চেক, পােস্টাল অর্ডার অথবা নগদে।
সত্যি করে বলুন ডাক্তারবাবু, অপারেশনের পর সুস্থ হয়ে আমার বেচে ফেরার চান্স কীরকম?
শতকরা একশাে ভাগ।
কী করে বুঝলেন?
দেখুন, পরিসংখ্যান বলছে এসব ক্ষেত্রে দশজনে নজন মারা যান। তো আমার কাছে আপনার আগে ইতিমধ্যেই ন জন মারা গেছেন। আপনি দশম।
কী মনে হয় আমাদের নতুন কাজের লােকটি টিকবে?
সন্দেই আছে।
কেন?
আজ সকালের ডাকে ওর একটা চিঠি এসেছে, তাতে পাঁচবার রি- এড্রেসড করা।
কাজের লােককে ধুলােয় ভরা পিয়ানােটা দেখিয়ে গিন্নিমা বললে, ইস কী নােংরা হয়েছে দেখাে তাে। নিশ্চয়ই মাস দুয়েকের মধ্যে ঝাড়পোঁচ হয়নি। উত্তর এল। তা হলে তাে আমার কিছু করার নেই মা, আমি তাে মাত্র তিন
সপ্তাহ হল এসেছি।
বাড়ির পুরােনাে ভূত্য একদিন তার মনিবের কাছে গিয়ে বলল, বাবু আজ থেকে আমি কাজ ছেড়ে দেব। মনিব অবাক হয়ে বললেন, হঠাৎ কী হল? ভূত্য বলল, এতদিন আপনার কাছে আছি, অথচ আপনি আমাকে এতটুকু বিশ্বাস করেন না, এমন বাড়িতে থেকে লাভ কী? মনিব তাে আরও অবাক, বিশ্বাস করি না মানে? আমি তােকে এতটা বিশ্বস করি বলেই না ঘরদাের, এমনকী সিন্দুকের দুটো চাবিও তাের কাছে ব্রেখে দিয়েছি।
দিইনি? ভুত্য আবার বলন, দিয়েছেন, তবু বলব, আপনার আমার উপর কোনাে বিশ্বাসই নেই। মনিব বললেন, কী করে জানলি? জবাবে ভৃত্য বলল ‘আমি ওই দুটো চাবিই সিন্দুকে লাগিয়ে দেখেছি, কোনটাতেই সিন্দুক খোলে না।
গিন্নি: রান্নার আগে মাছগুলাে ভালাে-করে ধুয়েছিলে তাে?
রাঁধুনি: বােকার মতাে মাছ আবার ধােবাে কী? সারা জীবন যার জলেই কাটে তাকে জল দিয়ে ধােওয়ার কোনাে মানে হয়?
কর্তা (রাত্তিরে বাড়ি না ফিরে): বার বার করে বললাম গিন্নিমাকে বলিস না, ঠিক কখন আমি ফিরেছি। সেই বলে দিলি।
রাঁধুনি: ওমা, কই বললাম! গিন্নিমা জিজ্ঞেস করাতে শুধু বললাম,
আপনি যখন ফিরলেন তখন ব্রেকফাস্ট বানাতে আমি এতই ব্যস্ত ছিলাম যে ঘড়ি দেখারই সময় পাইনি।
ভূত্যকে গিন্নি বলেন, কী ব্যাপার রামু, যখনই দেখি তুই ঘুমোচ্ছিস, কেন রে? রামুর উত্তর, আসলে প্রতি মুহূর্তেই আমি কিছু করতে ভালােবাসি অমন ছাড়া যে আমি থাকতে পারি না।
মালিক: কী রে সবাই এক একবারে চারটে করে ইট বইছে আর তুই মাত্র দুটো।
মজুর: ওরা এমনই কুঁড়ে। দুটো বইলে যে একটু বেশিবার আসতে যেতে হয়।
কী হল চোখ বন্ধ করে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছ কেন?
আমি দেখতে চাইছি, ঘুমােলে আমাকে ঠিক কেমন লাগে।
সাতসকালে সদ্য বিবাহিত এক স্বামী-স্ত্রীর কথােপকথন।
স্বামী: শুনছ, আজকে দুপুরে আমি কিছু বন্ধু-বান্ধবকে নেমন্তন্ন করলাম।
স্ত্রী: তুমি কী পাগল! দেখছ বাড়ির কী লন্ডভন্ড অবস্থা। চতুর্দিকে জিনিসপত্র ডাই হয়ে আছে। নােংরা জামাকাপড়, বাসন-কোসন স্তুপাকারএই অবস্থায় কাউকে নেমন্তন্ন করে! তাছাড়া আমি কি ছাই ভালাে রান্নাবান্না করতে জানি নাকি যে খাওয়াব।
স্বামী: এসবই তাে আমি জানি।
স্ত্রী: তবে ওদের ডাকলে কেন ?
স্বামী: বােকাগুলাে বিয়ে করার জন্য রাতদিন ছোঁক ছোঁক করে, একবার এসে দেখে যাক, বিয়ে ব্যাপারটা ঠিক কী বস্তু, তাই।
একবার ভারতের এক মন্ত্রী মার্কিন দেশে গেছেন। সেই সফরে সে দেশের এক সেনেট সদস্য তাঁকে নিজের বাড়িতে নৈশভােজে আমন্ত্রণ জানান। সেনেটর- এর বাড়ি দেখে মন্ত্রীর তাে চোখ ধাধিয়ে গেল। বাড়ি তাে নয় যেন স্বপ্নরাজ্য।
মন্ত্রী বলেই ফেললেন, সেনেটরের সামান্য মজুরিতে এরকম একটা বাড়ি কী করে দেখভাল করছেন মশাই! উত্তরে সেনেটর মৃদু হেসে তাকে জানালার দিকে নিয়ে গেলেন। বললেন, ‘দূরে নদীর উপর ব্রিজটা দেখতে পাচ্ছেন?
মন্ত্রী বললেন, ‘হ্যা, পাচ্ছি। সেনেটর এবার বললেন, টেন পার্সেন্ট। এর কিছুদিন পর সেই সেনেটর এলেন ভারত সফরে। স্বভাবতই এবারে সেই মন্ত্রীর আপ্যায়নের পালা। সেনেটর মন্ত্রীর বাড়ি পৌছে তাে একেবারে বাকরুদ্ধ।
বাড়ি কোথায়, এ তাে প্রাসাদ! খানিক পরে সেনেটর নিজেকে সামল সুমলে বললেন, ‘মন্ত্রীর মজুরিতে এই প্রাসাদ, এ তাে তাজ্জব ব্যাপার। মন্ত্রী সে কথায় তাকে এবারে জানলার কাছে আনলেন। বললেন, দূরে নদীটা দেখতে পাচ্ছেন? সেনেটর বললেন, পাচ্ছি। মন্ত্রী বললেন, এবারে ব্রিজটা?
সেনেটর এবার অবাক হয়ে খানিক চেয়ে রইলেন। কোথায় ব্রিজ? হতাশ হয়ে সেনেটর বললেন, ব্রিজ? কই না তাে। মন্ত্রী বললেন, ‘হানড্রেড
পার্সেন্ট।
ছােট্ট মেয়ে জুলি রাতে শােওয়ার সময় বিড়বিড় করে ঈশ্বরের নাম নিয়ে বলতে লাগল, হে ভগবান, নেপলসকে ইটালির রাজধানী করে দাও। হে ভগবান নেপলসকে……! শুনতে পেয়ে তার মা অবাক হয়ে বললেন কীরে এতকিছু থাকতে হঠাৎ নেপলসকে ইটালির রাজধানী করে দিতে বলছিস কেন? জুলির উত্তর, কী করব পরীক্ষার খাতায় যে সেইরকমই লিখে এসেছি।
এক বৃদ্ধ আর একটা যুবক পাশাপাশি পার্কের বেঞ্চিতে বসে। হঠাৎ বৃদ্ধটি যুবকের দিকে ঝুঁকে পড়ে চিৎকার করে বললেন, তুমি আমাকে তখন থেকে কীসব বলে যাচ্ছ। আমি তাে কালা, কিছুই শুনতে পাই না।
উত্তরে হতচকিত যুবকটি ততােধিক চিৎকারে বললেন, কিছুই বলিনি, আমি বাবুলগাম চিবােচ্ছিলাম।
অস্ট্রেলিয়া সফরে অজিত আগরকর ব্যাটে কিছুই সুবিধে করতে পারছেন না। সিডনি টেস্টে তিনি তখন ব্যাট করতে নামছেন হঠাৎ প্যাভিলিয়নের ফোন বেজে উঠল। ফোনটা অজিতেরই পরিচিত কারুর। ফোন ধরে কোচ কপিল বললেন ‘ওকে তো এখন পাবেন না, ও এইমাত্র ব্যাট করতে নামল।
ফোনের ওপ্রান্ত থেকে জবাব এল, ঠিক আছে, তাহলে আমি বরং একটু ধরে থাকি।
একটা ট্যাক্সি করে টেক্সাসের এক দাম্ভিক মার্কিন একবার লন্ডন শহরের দর্শনীয় স্থান দেখতে বেরােলেন।
এই বাড়িটি কী?
এটা টাওয়ার অফ লন্ডন স্যার।
এরকম একটা বাড়ি তৈরি করতে আমাদের দেশে বড়াে জোর দু সপ্তাহ লাগে।
কিছুক্ষণ, বাদে আবার।
এটা কোন বাড়ির পাশ দিয়ে এখন যাচ্ছি?
বাকিংহাম প্যালেস স্যার। এখানেই রানি থাকেন।
তাই? তুমি কী জানাে টেক্সাসে আমরা এই ধরনের বাড়ি বানাই এক সপ্তাহে? আরও কিছুক্ষণ বাদে। এবারে গাড়িটা ওয়েস্ট মিনিস্টার অ্যাব-এর পাশে।
এই যে শােনাে, এটা কী বলােতাে?
এবারে ড্রাইভারের চটজলদি উত্তর,
জানি না স্যার। আজ সকালেও তাে এটাকে এখানে দেখিনি।
হলিউডি সিনেমার তখন খুব মন্দা বাজার। ভালাে ছবি হচ্ছে না বললেই চলে। সে সময়ের একটা হলে শাে চলছে। হঠাৎ সামনের সারিতে বসা এক ভদ্রলোক পিছন ঘুরে এক মহিলাকে বললেন, ম্যাডাম আমার টুপির জন্য কী আপনার অসুবিধা হচ্ছে? হলে বলুন আমি বরং টুপিটা খুলে রাখি।
ভদ্র মহিলা বললেন, না না কোনাে দরকার নেই। সিনেমাটার চেয়ে আপনার টুপিটাই বরং বেশি আকর্ষণীয়।
এই শতকের কোনাে একটা সময়। হিলারি ক্লিনটন এখন স্বর্গে। তাঁর স্বামী প্রেসিডেন্ট বিল যদিও বেঁচে। একদিন হিলারি সেন্ট পিটারের সঙ্গে স্বর্গ পরিদর্শনে বের হলেন। হিলারি লক্ষ করলেন, একটা দেওয়ালের গায়ে সার সার কতগুলাে ঘড়ি আটকানাে আছে, যার একটার সঙ্গে আর-একটার সময়ের
কোনাে মিল নেই। এ কেমন অদ্ভুত ব্যাপার! হিলারি পিটারকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ঘড়িগুলাে অমন কেন, স্বর্গের ঘড়ি বলে কথা, অথচ এ কী তামাশা?
উত্তরে পিটার বললেন, পৃথিবীর সব বিখ্যাত মানুষ পিছু স্বর্গে একটা করে ঘাড়ি আছে। একমাত্র মিথ্যে কথা বললে তবেই তাঁর ঘড়ি চলে। প্রতি মিথ্যেতে এক সেকেন্ড করে ঘড়ির কাঁটা নড়ে। পিটার এবার হিলারিকে দুটো বিশেষ ঘড়ি দেখালেনএকটি মাদার টেরেজার, অন্যটা আব্রাহাম লিংকনের।
টেরেজার ঘড়ি একটুও নড়েনি অর্থাৎ তিনি কদাচ মিথ্যে বলেননি। আর লিংকনেরটা নড়েছে মাত্র দুবার। এরপর স্বভাবতই হিলারি বিলের ঘড়িটি দেখার জন্য উদগ্রীব। বলেই ফেললেন সে কথা পিটারকে। উত্তরে পিটার বললেন, ওটা তাে এখানে নেই। হিলারি বললেন, তাে কোথায় ?’ সঙ্কুচিত
পিটার জবাব দিলেন, ‘ম্যাডাম, প্রভু যীশুর অফিসে বিল ক্লিনটনের ঘড়ির কাঁটাগুলােকে সিলিং ফ্যান হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
বিধান রায়ের মন্ত্রীসভার প্রত্যেক মন্ত্রীকে নিজস্ব গাড়ি দেওয়া হল। সঙ্গে এও বলা হল, যেন মন্ত্রীরা কেউ তাদের গাড়ির ভার পুরােপুরি ড্রাইভারদের
উপর ছেড়ে না দেন। এমনকী ছােটোখাটো পার্টস চেঞ্জ করাতেও তারা যেন নজর রাখেন। তাে, এক মন্ত্রীর কথা বলি। সেই মন্ত্রী দুপুরবেলা বাড়িতে খানিক বিশ্রামের পর কাজে বের হবেন, এমন সময় হঠাৎ শুনলেন বাইরে দাড়ানাে তার গাড়ি থেকে কীসের যেন শব্দ হল। আওয়াজ শুনে মন্ত্রীমশাই
তৎক্ষণাৎ হন্তদন্ত হয়ে বেরিয়ে এসে ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলেন, কী হল?
কীসের শব্দ পেলাম যেন! ড্রাইভার বলল, ও কিছু না স্যার। গিয়ার চেঞ্জ করছিলাম। মন্ত্রী তাই শুনে মহা ক্ষেপে গেলেন, বললেন, তােমায় বলেছি না আমায় না জিজ্ঞেস করে কোনাে কিছু চেঞ্জ করবে না।
প্রেমেন্দ্র মিত্র-এর একটি কাব্যগ্রন্থের নাম সাগর থেকে ফেরা। এই বই নিয়ে কথা প্রসঙ্গে একবার এক ছােকরা কবি তার আর এক কবি বন্ধুকে জিজ্ঞেস করেছিল, আচ্ছা, প্রেমেন্দ্র মিত্র বইটার এমন নাম দিয়েছিলেন কেন জানিস?’ উত্তরে বন্ধুটি বলেছিল, কেন জানব না। আরে প্রেমেনবাবু ওই
বইয়ের সব কবিতাই দেশ পত্রিকার সাগরময় ঘােষের কাছে পাঠান। সাগরবাবুর কোনাে কবিতাই ভালাে লাগেনি বলে তিনি তা ফিরিয়েও দেন। তাই তিনি শেষমেষ বইটার নাম দেন – সাগর থেকে ফেরা।
এভীর রাতে রামবাবু শুনলেন পাশের যতীনবাবুর বাড়ি থেকে জোরে চিৎকার ভেসে আসছে। যতীনবাবু চেচিয়ে চেচিয়ে বলছেন, ‘বাঁয়ে টানিয়া লামা, ধরিয়া তােল, ঘুরাইয়া পাক দে, দে, দে। রামবাবু শুনে ভাবলেন, এত রাতে কী হল- ভারী কিছু জিনিসপত্র উপরে তুলছেন নাকি যতীনদা!
কৌতৃহলবশত বারান্দায় বেরিয়ে এসে যতীনবাবুকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন,
কী মশাই, আলমারি টালমারি কিনলেন নাকি নতুন? উত্তরে যতীনবাবু
বললেন, আরে না না দাদা, হালা পােলাপানডারে ক ল্যাখা শিখাইতাসি।
এক জ্যোতিষীর স্ত্রী সাতসকালে বেজায় খাপ্পা। ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি পড়ছে। আজ বােধহয় কাজের লােক এল না। রেগেমগে স্বামীকে গিয়ে তিনি তখন বললেন, ‘কী ছাইপাশ হাত গােনাগুনি কর, বলতে পারবে আজ কাজের
মেয়েটা আসবে কিনা? জ্যোতিষী পড়লেন মহা ফাঁপরে। তবু স্ত্রীর কথার জবাব না দিয়ে যান কোথা। আকাশের অবস্থা দেখে তিনি বললেন, না,
আজ আর ও আসবে না। এদিকে কিছুক্ষণ বাদেই কাজের মেয়ে এসে হাজির।
স্ত্রী তাে এবার মুখে ফুলঝুরি ছােটাচ্ছেন, ‘এই তােমার জ্যোতিষচর্চা। ঝাঁটা মারি অমন চর্চার মুখে। শুনে রেগেমেগে জ্যোতিষী উত্তর করলেন, দেখাে, আজেবাজে বােলাে না। আমরা গ্রহ নক্ষেত্র-র গতিপ্রকৃতি নিয়ে কারবার করি।
তােমার কাজের লােকের গতিপ্রকৃতি জানা আমাদের কম্ম নয়।
এক বিবাহিত মহিলা কেবলই সবুজ টিপ পরেন। তাতে তার পড়শিরা খুবই কৌতুহল বােধ করেন। তাে, একদিন একজন মহিলাটিকে জিজ্ঞেস করলেন, কিছু যদি মনে না করেন তাে বলি, আচ্ছা আপনি কেবলই সবুজ টিপ পরেন। কোনােদিন অন্তত লাল টিপও পরতে পারেন তাে। জবাব এল,
আসলে আমার স্বামী তাে রেলের পাইলট। উনি লাল গােল কিছু দেখলেই থেমে যান, আর সবুজ পরলে বেশ চাঙ্গা থাকেন, তাই আর কী।
(সমাপ্ত)