১০ টি সেরা দূর্গা পূজার কবিতা | Durga Puja Poem in Bengali

WhatsApp Channel Follow Now
Telegram Group Follow Now

Durga Puja Poem in Bengali : দূর্গা পূজার কবিতা – বাঙালীর বারো মাসে তেরো পার্বণ তার মধ্যে অন্যতম হল দুর্গোৎসব, কাশ বনের দোলায় দেবীপক্ষের সূচনা বাঙালির মনকে আলোড়িত করে তোলে। বাঙালির দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটে মহালয়ার শুভ দিনে। শরৎ এর মেঘ আর শিউলির গন্ধ মা দশভুজার আগমনকে উন্মুক্ত চিত্তে স্বাগত জানায়। বাঙালির জীবনে দুর্গোৎসবের আনন্দকে তুলে ধরতে আজকের বিষয় দুর্গা পূজার কবিতা।

বাঙালি চিরকালই উৎসবপ্রেমী জাতি। লোকমুখে প্রচলিত বাংলার মানুষের বারো মাসে তেরো পার্বণ। সারা বছর জুড়েই বাঙালির জীবন নানা ধরনের উৎসবের আলোয় মুখরিত হয়ে থাকে। তবে এত সব উৎসবের মধ্যেও যেটি বাঙালির কাছে সব চাইতে বেশি প্রিয় এবং শ্রেষ্ঠ উৎসব তথা বাঙালি জাতির সার্বজনীন, তা হল শরৎকালের দুর্গোৎসব।

শরৎকালে এই উৎসব হয় বলে এটি শারদোৎসব নামেও পরিচিত। ধনী গরীব, নর-নারী নির্বিশেষে সকল মানুষের মিলনের এমন সার্বজনীন সমাবেশ অন্য আর কোনো উৎসবে সেভাবে দেখা যায়না। সমগ্র দেশ তথা বিশ্বের কাছে বাঙালির এই দুর্গাপূজার রূপ অভাবনীয় এবং অতুলনীয়।

দূর্গা পূজার কবিতা | Durga Puja Poem in Bengali

দূর্গা পূজার কবিতা

আজকের এই নিবন্ধে আপনার সঙ্গে কিছু বিখ্যাত লেখকের লেখা ১০ টি বাছাই করা দূর্গা পূজার কবিতা তুলে ধরবো আশাকরি প্রতিটি দূর্গা পূজার কবিতা আপনার খুবই ভালো লাগবে।

কন্যাশ্লোক কবিতা

লেখক – মল্লিকা সেনগুপ্ত

আশ্বিনের এক প্রাগৈতিহাসিক সকালে শ্রীরামচন্দ্র যে দুর্গার বোধন করেছিলেন
স্বর্গের দেবপুরুষগণ যুদ্ধে পরাজিত হয়ে যে রণদেবীকে অসুর নিধনে পাঠিয়েছিলেন
সেই দুর্গাই একুশ শতকে নারীর ক্ষমতায়ন।
তাঁর মহাতেজ চিরজাগরুক আগুন হয়ে জ্বলে উঠুক মাটির পৃথিবীর প্রতিটি নারীর মধ্যে।
হে মহামানবী, তোমাকে সালাম!

মেয়েটির নাম দুর্গা সোরেন বটেক
মায়ের ছিলনা অক্ষর জ্ঞান ছটেক।
সর্বশিক্ষা অভিযানে পেয়ে বৃত্তি
দুর্গা হয়েছে ইংরেজি স্কুলে ভর্তি।
সাঁওতালি গান, ইংরেজি ভাষা বাঁ হাতে
কম্প্যুটারে শিখেছে ইমেল পাঠাতে।
অঙ্কের স্যার ভুল হলে যোগ বিয়োগে
গায়ে হাত দেয় পড়া শেখানোর সুযোগে।
দুর্গা জানেনা কোনটা যৌন লাঞ্ছনা
স্যারটা নোংরা বটেক!–কথাটা মানছ না?
শেষে একদিন স্যারের নোংরা হাতটা
মোচড়ে দিয়েছে দুর্গা, মেরেছে ঝাপটা!
ওরে অর্ধেক আকাশে মাটিতে শ্যাওলা
আকাশে উড়বে, হবে কল্পনা চাওলা।
যদি না বিমান ভেঙে পড়ে তার দুদ্দাড়
মহাকাশচারী হবেই বটেক দুর্গা।

বিশ্বায়নে পণ্যায়নে
খণ্ড খণ্ড মানচিত্রে বাংলা বিহার রাজস্থানে
সাধারণী নমস্তুতে!
পণ্যব্রতে, পত্নীব্রতে মোহমুদ্রা,ধ্বংসমুদ্রা প্রযুক্তিতে
গৃহকর্মে সাধারণী নমস্তুতে!
আমার দুর্গা পথে প্রান্তরে স্কুল ঘরে থাকে
আমার দুর্গা বিপদে আপদে আমাকে মা বলে ডাকে।
আমার দুর্গা আত্মরক্ষা শরীর পুড়বে, মন না
আমার দুর্গা নারী গর্ভের রক্তমাংস কন্যা।
আমার দুর্গা গোলগাল মেয়ে, আমার দুর্গা তন্বী।
আমার দুর্গা কখনো ঘরোয়া, কখনো আগুন বহ্নি।
আমার দুর্গা মেধাপাটেকর, তিস্তা শিতলাবাদেরা
আমার দুর্গা মোম হয়ে জ্বালে অমাবস্যার আঁধেরা।
আমার দুর্গা মণিপুর জুড়ে নগ্নমিছিলে হাঁটে
আমার দুর্গা কাস্তে হাতুড়ি, আউশ ধানের মাঠে।
আমার দুর্গা ত্রিশূল ধরেছে,স্বর্গে এবং মর্ত্যে
আমার দুর্গা বাঁচতে শিখেছে নিজেই নিজের শর্তে।

আন্দোলনে উগ্রপন্থে, শিক্ষাব্রতে কর্মযজ্ঞে রান্নাঘরে, আঁতুড় ঘরে।
মা তুঝে সালাম !
অগ্নিপথে, যুদ্ধজয়ে, লিঙ্গসাম্যে, শ্রেণিসাম্যে দাঙ্গাক্ষেত্রে, কুরুক্ষেত্রে।
মা তুঝে সালাম!
মা তুঝে সালাম!
মা তুঝে সালাম!

তোমার দুর্গা আমার দুর্গা কবিতা

লেখক – সুব্রত পাল

তোমার দুর্গা মহালয়া ভোরে শরৎ মাখছে গায়
আমার দুর্গা এখনো দেখছি ফুটপাতে জন্মায়।

তোমার দুর্গা অকালবোধন একশো আটটা ফুল আমার দুর্গা দূর থেকে দ্যাখে খিচুড়ির ইস্কুল।

তোমার দুর্গা আগমনী গান গিরিরাজ কন্যার
আমার দুর্গা ঘর দোর ভাসা বাঁধ ভাঙা বন্যার।

তোমার দুর্গা প্রতিবার আসে বাবা মা’র বাড়িতেই আমার দুর্গা মা’র কোলে পিঠে, বাবার খবর নেই।

তোমার দুর্গা টেক্কা দিয়েছে এবার থিমের পুজো আমার দুর্গা ইট বয়ে বয়ে এক্কেবারেই কুঁজো।

তোমার দুর্গা হুল্লোড়ে মাতে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে
আমার দুর্গা বাঁচতে শিখছে অতীতকে ছুঁড়ে ফেলে।

তোমার দুর্গা আলো ঝলমল চেনে না অন্ধকার
আমার দুর্গা রোজ সেজে গুজে খোঁজে তার সংসার।

তোমার দুর্গা শপিং মলের কফির ধোঁয়ায় ওড়ে
আমার দুর্গা চা বানাচ্ছে, তিন রাস্তার মোড়ে।

তোমার দুর্গা বহুজাতিকের বহুজনহিতায়চ
আমার দুর্গা কালকে যেমন, আজো তথৈবচ।

তোমার দুর্গা ছবির ফ্রেমের শিউলি এবং কাশে
আমার দুর্গা এখনো আশায় কেউ যদি ভালোবাসে।

তোমার দুর্গা ধুনুচি নাচের ঢ্যাম্‌ কুড় কুড় ঢাকে
আমার দুর্গা ঘুরেই মরছে দশচক্রের পাকে।

তোমার দুর্গা অঢেল খাবার অঢেল নষ্ট হয়
আমার দুর্গা দিন আনাআনি কিছু নেই সঞ্চয়।

তোমার দুর্গা কুলকুল নদী, স্নেহের প্রথম পাঠ
আমার দুর্গা নখের আঁচড়ে ভয়েই শুকিয়ে কাঠ।

তোমার দুর্গা অস্ত্র শানায় সিংহবাহিনী রূপ
আমার দুর্গা কাঁদতে কাঁদতে নির্বাক, নিশ্চুপ।

তোমার দুর্গা দশভুজা হয়ে অসুরের মাথা কাটে
আমার দুর্গা অপুষ্টি নিয়ে ধুঁকতে ধুঁকতে হাঁটে।

আমার দুর্গা কবে বলো আর তোমার দুর্গা হবে ? আমার আকাশ ভরবে তোমার উৎসবে উৎসবে !!

আগমনী কবিতা

লেখক – ঝুলন চন্দন মন্ডল

আশ্বিনের এই দিনগুলিতে মনটা গাইতে চায়,
যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেণ সংস্থিতা
নমঃস্তসৈ নমঃস্তসৈ নমঃস্তসৈ নম নমহঃ।
মা আসছেন বাপের বাড়ি
প্রকৃতিও করছে স্বাগতম,
আমরাও হাতে হাত মিলিয়ে
করছি তারই আয়োজন।
সময়টা এখন যাচ্ছে কঠিন,
তাও করছেন আশীর্বাদ মা;
শিউলি ফুলেরা গাছে গাছে ফুটে,
জানাচ্ছে এসো এসো উমা।
কাশবনে দোলা লাগে
যেন হাসছে খিল খিল,
আকাশ মেঘের কোলাকুলিতে
প্রকৃতি করছে ঝিলমিল।
মায়ের আগমনের দিন
গুনছি সারাক্ষণ,
পুজোটা এবার কাটবে ভালো
করছে সবাই আনন্দ প্রতিক্ষণ।
সবাই যেন ভালো থাকে
সুস্থ থাকে পরিবেশ,
দুর্গা মা তো আসবেন প্রতিবছর
এই কামনার নেই শেষ।
আবার সবাই এক হবে
বেজে উঠবে কাঁসর ঘন্টা,
ঢাকের কাঠিতে ঘা পরলেই
নেচে ওঠে মনটা।
নতুন জামা নতুন সাজে
সেজে উঠবে লোকালয়,
একসাথে সব উঠবে বলে
জয় দুর্গা মাইকি জয়।।

আমার দুর্গোৎসব কবিতা

লেখক – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

জয় জয় জয় জয় জয়দাত্রি।
জয় জয় জয় বঙ্গজগদ্ধাত্রি।
জয় জয় জয় সুখদে অন্নদে ।
জয় জয় জয় বরদে শৰ্ম্মদে।
জয় জয় জয় শুভে শুভঙ্করি।
জয় জয় জয় শান্তি ক্ষেমঙ্করি।
দ্বেষকদলনি, সন্তানপালিনি।
জয় জয় দুর্গে দুর্গতিনাশিনি।
জয় জয় লক্ষ্মি বারীন্দ্ৰবালিকে।
জয় জয় কমলাকান্তপালিকে ।
জয় জয় ভক্তিশক্তিদায়িকে।
পাপতাপভয়শােকনাশিকে।
মৃদুল গম্ভীর ধীর ভাবিকে।
জয় মা কালি করালি অম্বিকে।
জয় হিমালয়নগবালিকে।
অতুলিত পূর্ণচন্দ্রভালিকে।
শুভে শোভনে সৰ্বার্থসাধিকে।
জয় জয় শান্তি শক্তি কালিকে।
জয় মা কমলাকান্তপালিকে।
নমােহস্তু তে দেবি বরপ্রদে শুভে।
নমােহস্তু তে কামচরে সদা ধ্রুবে।
ব্ৰহ্মাণী রুদ্রাণি ভূতভব্যে যশস্বিনি।
ত্রাহি মাং সর্বদুঃখেভ্যো দানবানাং ভয়ঙ্করি।
নমােহস্তু তে জগন্নাথে জনানি নমােহস্তু তে।
প্রিয়দান্তে জগন্মাতঃ শৈলপুত্রি বসুন্ধারে ।
ত্রায়স্ব মাং বিশালাক্ষি ভক্তানামাত্তি নাশিনি।
নমামি শিরসা দেবীং বন্ধনােহস্তু বিমােচিতঃ

আনন্দময়ীর আগমনে কবিতা

লেখক – কাজী নজরুল ইসলাম

আর কতকাল থাকবি বেটী মাটির ঢেলার মূর্তি আড়াল? স্বর্গ যে আজ জয় করেছে অত্যাচারী শক্তি চাঁড়াল।
দেব–শিশুদের মারছে চাবুক, বীর যুবকদের দিচ্ছে ফাঁসি, ভূ-ভারত আজ কসাইখানা, আসবি কখন সর্বনাশী?

মাদীগুলোর আদি দোষ ঐ অহিংসা বোল নাকি-নাকি খাঁড়ায় কেটে কর মা বিনাশ নপুংসকের প্রেমের ফাঁকি।
ঢাল তরবার, আন মা সমর, অমর হবার মন্ত্র শেখা, মাদীগুলোয় কর মা পুরুষ, রক্ত দে মা রক্ত দেখা।

তুই একা আয় পাগলী বেটী তাথৈ তাথৈ নৃত্য করে রক্ত-তৃষার ‘ময়-ভুখা-হু’র কাঁদন-কেতন কণ্বে ধরে।
অনেক পাঁঠা-মোষ খেয়েছিস, রাক্ষসী তোর যায়নি ক্ষুধা, আয় পাষাণী এবার নিবি আপন ছেলের রক্ত-সুধা।
দুর্বলেরে বলি দিয়ে ভীরুর এ হীন শক্তি-পূজা
দূর করে দে, বল মা, ছেলের রক্ত মাগে দশভুজা।

‘ময় ভুখা হুঁ মায়ি’ বলে আয় এবার আনন্দময়ী
কৈলাশ হতে গিরি-রাণীর মা দুলালী কন্যা অয়ি!

কবিতা – মা দুর্গা

লেখক – সৌম্যকান্তি চক্রবর্তী

নরম ঘাসে ভোরের শিশিরাঘাতে ,
মেঘেদের ঐ ভেলা ভেসে যাওয়া প্রাতে ;
আকাশ বাতাস হয় যেন সুরভিত ,
মধুর হাসির মা আমার আসছেন তো !

শিউলি ফুলের গন্ধে আকুল মন ,
আগমনী সুর কানে ভেসে আসে ঐ ;
শঙ্খ কাঁসর ঢাকের শব্দ পাই ,
সপরিবারে মা আসছেন কই ?

মা তুমি এলেই মনটা ভরে যায় ,
তোমার দিকে তাকিয়ে শুধু থাকি ;
তুমি এলেই ভাবতে থাকি শুধু ,
আনন্দের আর কটা দিনই বাকি ?

কবিতা – মা আসছে

লেখক – চৈতালী দত্ত

শিশিরস্নাত শিউলি সুবাস
ঘাসের কানে কানে জানিয়ে দেয়-
মা আসছে।
ছন্নছাড়া হাওয়ায় দুলে সন্ধ্যার কাশ
বৃষ্টিকে জাপটে ধরে জানিয়ে দেয়-
মা আসছে।
শুভ্র মেঘ, কিশোরীর দুরন্ত ওড়না হয়ে
আকাশের ওষ্ঠে চুম্বন এঁকে জানিয়ে দেয় –
মা আসছে।

সব দুর্গাই থাকুক সুখে কবিতা

লেখক – ভবানীপ্রসাদ মজুমদার

এক দুর্গা রিক্সা চালায় কুচবিহারের হাটে
এক দুর্গা একশো দিনের কাজে মাটি কাটে |
এক দুর্গা রাস্তা বানায় পিচ ও পাথর ঢালে
এক দুর্গা রোজ চুনো মাছ ধরছে বিলে – খালে।
এক দুর্গা করছে মাঠে দিনমজুরের কাজ
এক দুর্গা খিদেয় কাঁদে, পায়নি খেতে আজ।
সবাই জানি, এদের কারো হয়না কোনও পূজো
এরা তো মা তোমার মতো নয়কো দশভুজো।
সব দুর্গার চোখে-মুখেই ফুটবে হাসি কবে?
মাগো, তোমার পুজো সেদিন সত্যি সফল হবে।

এক দুর্গা পাথর ভাঙে রোজই আসানসোলে
এক দুর্গা পেটের জ্বালায় খনিতে কয়লা তোলে।
এক দুর্গা সাত-আট বাড়ি কষ্টে বাসন মাজে
এক দুর্গা কারখানাতে ব্যস্ত নানান কাজে।
এক দুর্গা চা-বাগানে তোলে চায়ের পাতা
এক দুর্গা পাড়ায় পাড়ায় ঘুরেই সারায় ছাতা।
সবাই জানি, এদের কারো হয়না কোনও পুজো
তাই বলি মা, এদের চোখেও পূজোর খুশি খুঁজো।
সব দুর্গার চোখে-মুখেই ফুটবে হাসি যবে
মাগো, তোমার পূজো সেদিন সত্যি সফল হবে।

এক দুর্গা হাসপাতালের সবার চেনা আয়া
এক দুর্গা, নার্সদিদি তাঁর মনে ভীষণ মায়া।
এক দুর্গা সবজি বেঁচে নিজের পায়ে দাঁড়ায়
এক দুর্গা মুরগি কাটে, নিজেই পালক ছাড়ায় |
এক দুর্গা হোটেল চালায়, বানায় মাংস-ভাত
এক দুর্গা বুট-পালিশে জোরসে চালায় হাত |
এমনি হাজার দুর্গা যারা পায় না কোনও পূজো
এদের দুঃখ-কষ্ট তুমিই দরদ দিয়ে বুঝো |
সব দুর্গার চোখে-মুখে ফুটলে হাসি তবে
মাগো, তোমার পূজো সেদিন সত্যি সফল হবে |

কবিতা – মা দুর্গা

তোমার জন্য পুজো মানে.,
মহালয়ায় সকাল বেলায় বীরেন বাবু
তোমার জন্য ষষ্ঠী সকাল.,
কাঁপছে শহর খুশির ঝড়ে ভীষণ কাবু।

নরম ঘাসে ভোরের শিশিরা ঘাতে .,
মেঘেদের ঐ ভেলা ভেসে যাওয়া প্রাতে
আকাশ বাতাস হয় যেন সুরভিত.,
মধুর হাসির মা আমার আসছেন তো !

শিউলি ফুলের গন্ধে আকুল মন.,
আগমনী সুর কানে ভেসে আসে ঐ
শঙ্খ কাঁসর ঢাকের শব্দ পাই.,
সপরিবারে মা আসছেন কই ?

শক্তি দিও জ্ঞান দিও সাহস দিও মাগো
আঁধার ভুবন করতে আলো জাগো তুমি জাগো।

খুশির আলোয় ভরে যেন! জগৎ ও সংসার
অসুর নিধন সত্যি করা যায় প্রমান করো আরও একবার।

কবিতা – আগমনী

বর্ষা করে যাব যাব শীত এখনও দূর
এরই মধ্যে মিঠে কিন্তু..,হয়েছে রোদ্দুর।

মেঘ গুলো সব দূর আকাশে পারছে না ঠিক বুঝতে
ঝরবে, নাকি যাবে উড়ে..,অন্য কোথাও খুঁজতে।

থেকে থেকে তাই কি শুনি বুক কাপানো ডাক?
হাক টা যতই হোক না জবর মধ্যে ফাকির ফাক।

আকাশ বাতাস আনমনা আজ,, শোনে এ কোন ধ্বনি
চির নতুন হয়েও অচিন এ কার আগমনী।

Durga Puja Poem in Bengali : দূর্গা পূজার কবিতা : গুলো আপনার কেমন লাগলো মন্তব্য করে জানাবেন যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না আরও নতুন নতুন তথ্য পাওয়ার জন্যে আমাদের ওয়েবসাইট টি সাবস্ক্রাইব করতে পারেন নমস্কার।

Leave a Comment

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now