15 august speech in bengali : আপনি কি ১৫ আগস্ট “স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য” রাখতে চাইছেন। কিন্তু কি বলে প্রথমে শুরু করবেন কিংবা কিভাবে আপনার “স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কিছু কথা” সবার সামনে উপস্থাপন করবেন সেই সমন্ধে কিছু ভেবে পাচ্ছেন না।
একদম চিন্তা করবেন না আপনার সঙ্গে শেয়ার করবো কিছু বাছাই করা “15 আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্য“। আশাকরি আপনাদের লেখা “স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতা” গুলি আপনাকে ভারতের স্বাধীনতা দিবস নিয়ে সকলের সম্মুখে বক্তব্য রাখতে ভীষণ ভাবে সহযোগিতা করবে এবং আপনার বক্তব্যের সকলে প্রশংসা করবে।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য
বক্তব্য নং – ১
উপস্থিত সকল মাননীয় অতিথী মহাশয়গণ, আমার সম্মানীয় শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং আমার থেকে বড়ো দাদা-দিদিদের প্রণাম ও নমস্কার জানাই ৷ আমার থেকে ছোটো ভাই-বোনেদের ভালোবাসা জানাই।
আমরা জানি আজ ভারতীয়দের জন্য অত্যন্ত বিশেষ একটি দিন। আমরা এখানে ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করতে উপস্থিত হয়েছি। এটি প্রতি বছরের ১৫ই আগস্ট পালিত হয়। একজন ভারতীয় হিসাবে আমি এই দিনটিতে অংশ নিতে পেরে আনন্দিত। এই দিনটিতেই আমরা মহান মুক্তিযােদ্ধাদের বহু বছর কঠোর সংগ্রামের পরে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি পেয়েছিলাম। আমরা প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করি এই সমস্ত মহান নেতা যারা ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের সমস্ত ত্যাগের কথা স্মরণ করতে।
আমরা জানি যে ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারত স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার পরে আমরা আমাদের নিজস্ব মাতৃভূমিতে আমাদের সমস্ত মৌলিক অধিকার পেয়েছি। আমরা প্রত্যেকেই একজন ভারতীয় এবং আমাদের ভাগ্যের প্রশংসা করব যে আমরা একটি স্বাধীন ভারতের মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি।
- আরও পড়ুন:
- 👉 15 আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের কবিতা
- 👉 Independence Day Speech in Bengali
- 👉 Jana Gana Mana Lyrics in Bengali
- 👉 Happy Independence Day Quotes in Bengali
15 august speech in bengali
ইতিহাস পর্যালােচনা করলে দেখা যাবে আমাদের সমস্ত মহান পূর্বপুরুষরা যেভাবে কঠোর পরিশ্রম করেছিল এবং ব্রিটিশদের যে বর্বর আচরণ সহ্য করেছিল তা এখানে বসে কল্পনা করতে পারি না। খুবই কঠিন ছিল ভারতের স্বাধীনতা অর্জন ব্রিটিশ শাসন থেকে ছিনিয়ে নেওয়া। এটি এসেছিল ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত অর্থাৎ কয়েক দশক ধরে স্বাধীনতা সংগ্রামী যােদ্ধাদের জীবন ত্যাগ স্বীকারের পরে। ব্রিটিশ বাহিনীতে একজন ভারতীয় সৈনিক (মঙ্গল পান্ডে) প্রথমে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতার জন্য তার দাবি উত্থাপন করেছিলেন।
পরে বেশ কয়েকজন মহান মুক্তিযােদ্ধা সংগ্রাম করেছিলেন এবং তাদের পুরাে জীবন কেবল স্বাধীনতা অর্জনের জন্য বিসর্জন দিয়েছিলেন। ভগত সিং, খুদি রাম বােস এবং চন্দ্র শেখর আজাদ তাদের বাল্যকালে কেবল নিজের দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ হারিয়েছিলন তাদের ত্যাগ আমরা কখনও ভুলতে পারি না। আমরা কীভাবে নেতাজি এবং গান্ধীজীর সমস্ত সংগ্রামকে উপেক্ষা করতে পারি। গান্ধীজী ছিলেন এক দুর্দান্ত ভারতীয় ব্যক্তিত্ব, যে ভারতীয়দের অহিংসার পাঠদান করেছিলেন। তিনিই ছিলেন একমাত্র ব্যক্তি যিনি অহিংসার সাহায্য নিয়ে ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। অবশেষে দীর্ঘ বছরের সংগ্রামের পর ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীনতা লাভ করে।
15 আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্য
আমরা এত ভাগ্যবান যে আমাদের পিতৃপুরুষরা আমাদের শান্তির দেশ দিয়েছেন যেখানে আমরা নির্ভয়ে সারা রাত ঘুমাতে পারি এবং আমাদের স্কুল বা বাড়িতে খুশির সহিত দিনকে উপভােগ করতে পারি। আমাদের দেশ প্রযুক্তি, শিক্ষা, ক্রীড়া, অর্থ ও অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে খুব দ্রুত বিকাশ করছে যা স্বাধীনতার আগে প্রায় অসম্ভব ছিল। ভারত পারমাণবিক শক্তিতে সমৃদ্ধ দেশগুলির মধ্যে একটি। অলিম্পিক, কমনওয়েলথ গেমস এবং এশিয়ান গেমসের মতাে খেলায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
আমাদের সরকার বেছে নেওয়ার এবং বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র উপভােগ করার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে। হ্যাঁ, আমরা স্বাধীন এবং সম্পূর্ণ স্বাধীনতা পেয়েছি। তবে দেশের দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আমাদের দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে নিজেকে বােঝা উচিত , আমাদের দেশের যে কোনও জরুরি অবস্থার সময় আমাদের সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে।বন্দেমাতরম, জয় হিন্দ, ভারত মাতা কি জয়।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য pdf
১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট ২০০ বছরের পরাধীনতার অন্ধকারের জাল ছিঁড়ে স্বাধীনতা লাভ করেছিল ভারত বর্ষ। এই দিনটিকে কেবল মাত্র ভারতের স্বাধীনতা পাওয়ার দিন হিসেবে উদযাপন করা হয় না, একই সঙ্গে স্মরণ করা হয় ভারতের বীর সন্তানদের, যাঁরা দেশের জন্য নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করেছেন।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য pdf – ফাইল টি ডাউনলোড করার জন্যে নিচের দেওয়া বক্সে ক্লিক করুন।
স্বাধীনতা দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা
বক্তব্য নং – ২
১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস (Independence Day of India)৷ খুব ধুমধামের সঙ্গে দিনটির উদযাপন হয় দেশজুড়ে৷ এই দিনে সেই সব মহান দেশনেতাদের স্মরণ করা হয় যাঁদের রক্ত, ঘামের বিনিময়ে ব্রিটিশের শৃঙ্খলমুক্ত হয়ে স্বাধীনতা পেয়েছে দেশ৷
দেড়শো বছরের কলোনি শাসন ছেড়ে ১৯৪৭-এর ১৫ আগস্ট ভারত ত্যাগ করে ব্রিটিশরা৷ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের চরম আত্মবলিদানকে স্মরণ করে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের পাশাপাশি জাতীয় পতাকা উত্তোলনও করা হয় এই দিনটিতে৷ সামনেই ৭৬-তম স্বাধীনতা দিবস৷ তার আগে এই দিনের ঐতিহাসিক তাৎপর্য আজকের আলোচ্য বিষয়৷
ইতিহাসের পাতায় ফিরে দেখার শুরু হল৷ ১৬১৯ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে সঙ্গে নিয়ে ভারতের পশ্চিম উপকূলে গুজরাটের সুরাট বন্দরে আসে ব্রিটিশরা৷ এরপর অচিরেই বণিকের মানদণ্ড রাজদণ্ডে বদলে গেলে প্রায় ১০০ বছর ভারত শাসন করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি৷ এই শাসন আপামর ভারতীয়কে বিদ্রোহী করে তোলে৷ বিদেশি শাসের হাত থেকে মুক্তি পেতে দেশজুড়ে শুরু হয় স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন৷
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কিছু কথা
দেশের স্বাধীনতার জন্য দিনের পর দিন চলেছে সংগ্রাম৷ যার নেতৃত্ব দিয়েছেন মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহরু, সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল, সুভাষ চন্দ্র বসু, ভগৎ সিং, আবদুল কালাম আজাদ, বাঘা যতিন-সহ আরও অনেকে৷ দেশকে স্বাধীনতা এনে দিতে সেই সময় ভারতের আট থেকে আশি প্রচুর আত্মত্যাগ করেছে৷
এমনকী সরকার বাহাদুরের লোভনীয় চাকরি ছাড়তে মুহূর্তও নষ্ট করেনি৷ ইংরেজ ভার ছাড়ো এই স্লোগানকে সামনে রেখে স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধী৷ ১৯৪৭-এর শুরুতে ব্রিটিশ সরকার ঘোষণা করে যে ১৯৪৮-এর জুনের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে ভারত ছেড়ে ইংরেজ চলে যাবে৷
ভারতের আগামী প্রজন্ম যাতে স্বাধীনদেশে বসবাস করতে পারে সেজন্য ব্রিটিশ শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করতে চরম আত্মত্যাগ করেছেন স্বাধীনতা সংগ্রামীরা৷ সেইসব সুসন্তানদের আত্মত্যাগ স্মরণের দিন ১৫ আগস্ট৷ এটি একটি সরকারি ছুটির দিন৷ জাতীয় পতাকা উত্তোলন, প্যারেড ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটিকে স্মরণ করা হয়৷
Independence Day Speech in Bengali 2023
এই দিনের স্মরণে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ১৯৪৭ সালে ১৫ আগস্টে দিল্লির লালকেল্লার লাহোরি গেটে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন৷ সেই থেকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীরা পরম্পরা মেনে লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে আসছেন৷
হাজার হাজার স্বাধীনতা সংগ্রামীর রক্ত ঘামের বিনিময়ে তৈরি হয়েছিল ভারতের উন্নয়নের পথ৷ যে পথে দেশ ততরতরিয়ে এগিয়ে চলেছে৷ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, উন্নয়ন সবেতেই নতুন প্রতিভার স্বাক্ষর রাখছে দেশ৷ অদূর ভবিষ্যতে এই অগ্রগতি ভারতকে উন্নত দেশগুলির সঙ্গে এক সারিতে বসাবে৷
শিক্ষা, মহাকাশ গবেষণা, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, পরিকাঠামো এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই বিশ্বের ইতিহাসে স্বতন্ত্র জায়গা করে নিয়েছে ভারত৷ দুর্বল অর্থনীতি থেকে উন্নয়নশীল দেশ হয়ে ওঠার নেপথ্যে তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতিসাধন করেছে ভারত৷ তাই তো বিশ্বসভায় আজ তার মর্যাদাই আলাদা৷
মুক্তিযোদ্ধাদের রক্ত ঘাম আত্মত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতার মূল্যায়ণকে প্রাধান্য দিয়েছে দেশের কিছু কৃতি সন্তান৷ সেই গৌরবোজ্জ্বল পথেই তরতরিয়ে এগিয়ে চলেছে সভ্যতার জয়রথ৷ আসন্ন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশের সেই সেরা সন্তানদের স্যালুট করি যাঁরা দেশকে স্বাধীন করতে মরণ পণ লড়েছিলেন৷
স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কিছু কথা
আমাদের দেশ আজ স্বাধীন। ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ সালে আমরা এই স্বাধীনতা লাভ করেছি। এর আগে প্রায় দুশাে বছর আমাদের দেশ বিদেশি শক্তির পরাধীন ছিল। আজ আমরা যে স্বাধীনতা লাভ করেছি তার পিছনে আছে বহু শহিদের জীবন দানের ইতিহাস।
তাই যাঁরা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের অমর আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা এই স্বাধীনতা দিবসে নিবেদন করি। স্বাধীন ভারতে এই দিনটি অত্যন্ত আড়ম্বরের সঙ্গে উদ্যাপিত হয়। প্রত্যেক জাতির কাছেই তাদের স্বাধীনতা দিবস খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কাছেও ১৫ আগস্ট অতি পবিত্র দিন। আমাদের প্রতিজ্ঞা—জীবন দিয়ে আমরা দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করব।
FAQs About 15 august speech in bengali
কত সালে ভারত স্বাধীন হয়?
আমরা জানি যে ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারত স্বাধীনতা লাভ করে।
২০২২ এর স্বাধীনতা দিবস কত তম?
দেড়শো বছরের কলোনি শাসন ছেড়ে ১৯৪৭-এর ১৫ আগস্ট ভারত ত্যাগ করে ব্রিটিশরা৷ এই বছর আমাদের ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস।
স্বাধীনতা দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য কি?
ভারতের আগামী প্রজন্ম যাতে স্বাধীনদেশে বসবাস করতে পারে সেজন্য ব্রিটিশ শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করতে চরম আত্মত্যাগ করেছেন স্বাধীনতা সংগ্রামীরা৷ সেইসব সুসন্তানদের আত্মত্যাগ স্মরণের দিন ১৫ আগস্ট৷ এটি একটি সরকারি ছুটির দিন৷ জাতীয় পতাকা উত্তোলন, প্যারেড ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটিকে স্মরণ করা হয়৷