Breakup Love Story Bengali | ব্রেকআপ লাভ স্টোরি

আজকের breakup love story টির নাম - "প্রেমের বিচিত্র গতি" গল্পের প্রধান চরিত্রে মহিতোষ, বিনীতা ও সুষমা, বিষয় - ভালোবাসায় সন্দেহ, bangla love stories এবং valobashar golpo আর romantic premer golpo অথবা  bangla love quotes কিংবা bangla love sms অথবা bengali jokes আরও পাওয়ার জন্য আমাদের ব্লগ টিকে সাবস্ক্রাইব করে আমাদের সাথে থাকুন, গল্পটি পড়িয়া যদি আপনার ভালো লাগিয়া থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট এবং শেয়ার করিতে ভুলিবেন না। 

breakup love story bengali

Bengali Breakup Love Story - ব্রেকআপ প্রেমের গল্প

আজকের গল্প - প্রেমের বিচিত্র গতি 


মহীতােষের আজ হল কী?
সকলের প্রতি একটা সকৃপ দৃষ্টি, কেমন একটা বৎস, বর প্রার্থনা করাে’-গােছের বিজাতীয় দয়ালুতা বিশ্বজনীন বাৎসল্যের সঙ্গে ওতপ্রােত হয়ে সর্বদাই তার মুখে লাগানাে থাকত-কিন্তু সেগুলাে আজ তার যথাস্থানে দেখা যাচ্ছে না কেন?
কী হল মহীতােষের ?
কফি হাউসের সীমান্ত প্রদেশে গিয়ে ওকে পাকড়াও করলাম “কী হে! হয়েছে কী তােমার?”
শূন্যগর্ভ কফির পেয়ালার ভেতর থেকে মহীতােষের জবাব এল : “মেয়েরা ছো! মেয়েদের কথা আর বােলাে না!” “কেন, কেন, মেয়েদের প্রতি ছোঁ মারবার মতাে কী হল তােমার হঠাৎ?” অবাক হয়ে আমি জিজ্ঞেস করি। কফির পেয়ালার আড়াল থেকে মুখ বার করে শেষ চুমুকটি নিঃশেষ করে ধীরে ধীরে বিশদ করল মহীতােষ “শুনলে তুমি দুঃখিত হবে বন্ধু, আমার আর বিনীতার মধ্যে আর আরা বাক্যালাপ নেই। 


বাতচিত চিরতরে বন্ধ। এমন সব বন্ধু, দিবালােকে প্রকাশ লাভ করেছে যাদের দিবালােকে প্রকাশ লাভ করার বিন্দুমাত্র আবশ্যকতা ছিল না।” “বিনীতা বুঝি সুষমার খবর জানতে পেরেছে কোনাে গতিকে?” আমি সন্দেহ জ্ঞাপন করি। “ধরেছ ঠিক।”মুখ ভার করে বলল মহীতােষ, “কিন্তু আমি এর হেস্তনেস্ত না করে ছাড়ব না, তুমি দেখে নিও. ঐ বরেন হতভাগাকে দেখে নেব আমি। একদিন রাত্রে অলিগলির মধ্যে অন্ধকার পেলেই হয়। এই কব্জির কয়েক ঘুষিতে ওর ঐ বিচ্ছিরি চেহারা এমন বদলে দেব যে তার চোটে তার ফলে হয়তাে ও দেখতে ভালােই হয়ে যেতে পারে।” মহীতােষের মুখ আরাে ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। “বরেন? বরেনই বুঝি এই কাণ্ড করেছে? বেফাস করে দিয়েছে সব?” আমি আরাে বিস্তৃতরূপে জানতে চাই “ একেবারে বেবাক ?” “হ্যা, বরেনই বাধিয়েছে। ও হতভাগার নিজেরই একটু টান রয়েছে কিনা সুষমার ওপর। এবং সুযােগ পেয়ে! আমারই বােকামি! বিনীতার প্রেমপত্র বাহাদুরি করে ওর কাছে পড়তে যাওয়াই আমার ভুল হয়েছিল। 

মানুষের ভেতরেও দু-মুখাে সাপ থাকে তখন জানতাম না তাে।" “দু-দিকেই ছােবল মেরেছে বুঝি? সুষমাকেও বাগিয়েছে আর এদিকে বিনীতাকেও ভাগিয়েছে? আবার বিনীতারাও প্রেমে পড়বার চেষ্টা করেছে সেই সঙ্গে ?” “সুষমার আর আমার আমাদের ভেতরকার সমস্ত ব্যাপার চিঠি লিখে জানিয়ে দিয়েছে বিনীতাকে। তার ফলে তার ফলে-”তৎ-পরবর্তী শােচনীয় ফলাফল মহীতােষ নিজের ভাষায় কুলিয়ে উঠতে পারে না। “তার ফলে অর্থাৎ তােমার এবং বিনীতার মাঝখানে সুষমা এসে পড়ার ফলে, তােমাদের সম্বন্ধের মধ্যে যে সুষমা ছিল তা তিরােহিত হয়েছে। অর্থাৎ কিনা, সুষমা এসেছে বটে, কিন্তু সুষমা আর নেই। এই তাে?” আমিই তার হয়ে, কতটা পেরে উঠি জানিনে, ব্যক্ত করার চেষ্টা করি। তার ফলে এই চিঠি দেখাে বিনীতার চিঠি!” মহীতােষ একখানা চিঠি আমার চোখের উপর মেলে ধরে, “পড়লে তুমি বিস্মিত হবে।” চিঠিটা আমি দেখি না, না দেখেই, ওর অন্তর্গত বিসুবিয়সকে দেখতে পাই-বিসুবিয়সের আভ্যন্তরীণ লাভাপ্রবাহ পর্যন্ত আমার নজরে পড়ে। “বিস্মিত হবার কিছু নেই।” বলি শুধু। 

“কিছু নেই? বলাে কী তুমি?” মহীতােষ বলতে গিয়ে যেন শিউরে ওঠে : “বিনীতার মতাে মেয়ে অমন চমৎকার মেয়ে নেপথ্য থেকে লেখা অমন একটা বাজে চিঠিতে বিশ্বাস করা কি ওর ঠিক হয়েছে?” “মেয়েরা ঐরকমই।” আমি জানাই : “বিনীতা মেয়ে তাে? আর মেয়েরা এই ধরনের অভিযােগে আস্থা স্থাপন করতে দেরি করে না। এর জন্যে একেবারে চরম দণ্ড দিতেও তাদের দ্বিধা নেই।” সান্ত্বনাদানের ছলেই বলি বটে, ও কিন্তু শান্ত হবার নয়। গুমরে গুমরে ওঠে আরাে। 


আরও পড়ুনঃ গল্পঃ মধুরেন 

“বিনীতা আর সব মেয়ে সমান?” মহীতােষ অনুযােগ করে : ‘এক হল সব?” “এ ব্যাপারে অন্ততঃ। এহেন ব্যাপারে অন্ততঃ বিনীতাও এক মুহূর্তে দুর্বিনীতা হয়ে ওঠে, এরকম দেখা গেছে।” একটার পর একটা, দৃষ্টান্তস্থল যত উদাহরণ যুগিয়ে আমার ভূয়ােদর্শনের প্রদর্শনী উদঘাটন করতে যাই, ও কিন্তু কর্ণপাত করে না। বাধা দিয়ে বলে : “ওসব ভুয়াে কথা রাখাে। দর্শনের কথা থাক এখন করি কী, তাই বলাে! বিনীতার সঙ্গে দেখা হলে কী বলব সেই কথাই আমি ভাবছি।” “তবে এই যে বললে তােমাদের বাক্যালাপ বন্ধ? বাতচিত ইত্যাদি সব খতম হয়ে গিয়েছে তাই বললে না?” “আমি তাে বন্ধ করিনি। ঐ আর কথা বলবে না বলে দিয়েছে। আরাে বলেছে যে এমন কতগুলাে কথা সে আমাকে বলতে চায় যা ও চিঠিতে লিখে উঠতে পারল না। সে-সব কথা যে কোনাে ভদ্রমহিলার পক্ষেই লেখনীর মুখে ব্যক্ত করা নাকি অসম্ভব। রােববার দিন ওদের বাড়িতে যেতে লিখেছে আমাকে।” 

“যাবে, তার আর কি? গিয়ে ঘােরতর প্রতিবাদ করবে। স্রেফ অস্বীকার এছাড়া-তােমার আর তাে কোনাে রাস্তা দেখি না।” “উহু, কিস্সু হয় না ওতে। দারােগা আর মেয়েদের কাছে অস্বীকার করে কোনাে ফল হয় না। কী করে বলা যায় না, শেষ পর্যন্ত ওরা স্বীকার করিয়ে ছাড়ে।” বিষণ্ণভাবে ঘাড়-নাড়ে মহীতােষ। দার্শনিকবৃত্তি ওর না থাকলেও, ওর বাক্যে দর্শন বৃত্তান্তের পরিচয় পেয়ে চমকে উঠতে হয়। মহীতােষের এ আবার কি নতুন নিদর্শন? এতটা বিচক্ষণতার প্রত্যাশা ওর কাছে কোনােদিন আমার ছিল না। “তাহলে তাহলে আর কী করবে।” আমিও নিরাশ হয়ে পড়ি : “যাক, এর থেকে, অবলা সরলা কুমারীর সঙ্গে ছলনা করা যে কত খারাপ এই শিক্ষা তােমার হবে। সেইটেই লাভ।” “কী বলব বন্ধু! যদি সশরীরে এই অগ্নিপরীক্ষা থেকে উত্তীর্ণ হতে পারি তাহলে আর ভুলেও কক্ষনাে সুষমার দিকে দৃকপাত করছিনে বিনীতার পায়েই বিনীত হয়ে থাকব সারা জীবন। হলফ করে বলছি, তুমি বিশ্বাস করতে পারাে। কিন্তু কথা হচ্ছে, জলজ্যান্ত এই দাবানল থেকে উদ্ধার পাব বলে আমার তাে মনে হয় না।” সমস্যাটা নিয়ে আমি মাথা ঘামাই আর ও বিকৃত মুখে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। “পেয়েছি! পাওয়া গেছে।” ককিয়ে উঠি আমি : “তুমি এক কাজ করাে।

সুষমাকে তােমার পিসিমা কিংবা দিদিমার সগােত্র বলে চালিয়ে দাও। ঐ একমাত্র উপায়। বলাে, গে যে উনি খুব বুড়ােসুড়াে মানুষ ওঁকে দেখলে তােমার মায়ের কথা মনে পড়ে আর সেই কারণেই ওঁকে না দেখে তুমি থাকতে পারাে না।” “উঁহু, সুষমা মােটেই বুড়ােসুড়াে নয়। তাছাড়া ওকে দেখলে মার কথা আমার মনেই পড়ে না।” মহীতােষের বিবেকে বাধে “মিথ্যে কথা বলা হবে যে? “তাহলে তাহলে আর কী হবে।” আমি হতাশ বয়ে বলি : “প্রেম আর সত্যবাদিতা একসঙ্গে বজায় রাখা যায় না। পাশাপাশি ওদের চালানাে দায়।” “আচ্ছা, বলাে শুনি?” মহীতােষ একটু একটু করে উৎসুক হয়। “পরিষ্কার করে বলাে দেখি?” “সুষমাকে তােমার মা বলে মনে না হলেও বিনীতার তাে তা মনে করতে বাধা নেই? তুমি করবে কি, মাতৃতুল্য বলে ওর কাছে জাহির করাবার সময়ে, সুষমার একটা ফোটো যাতে তােমার পকেট থেকে হঠাৎ ওর সামনে পড়ে যায় তার ব্যবস্থা করবে।” ওকে আমি বাতলাই : “আর ফোটোটা যাতে ওর নজরে পড়ে নজর রাখবে সেদিকে।” “প্রাণ থাকতে নয়।” 


মহীতােষ একেবারে মরিয়া। “শােনাে আগে! অশীতিপর হলেই ভালাে হয়। নেহাৎ না পাও যষ্ঠিবর্ষীয়া কোনাে আধবুড়ীর একটা ফোটো যােগাড় করা তােমার পক্ষে খুব শক্ত হবে না নিশ্চয়ই? পাড়াতুতাে কোনাে মাসীর ছবি পাড়াটে মাসতুতাে ভাইয়েরা কাছ থেকে বাগাতে পারবে না? সেই ফোটোর ওপরে, “স্নেহের শ্রীমান্ মহীতােষকে, আশীর্বাদিকা শ্রীমতী সুষমা দেব্যা” এই কথাগুলি আর কাউকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়ে ঐ কথাগুলিই বা ঐ জাতীয় কিছু, বুঝেছ?” না বুঝেও মহীতােষ সমঝদারের মতাে মাথা নাড়ে। “তারপর, বিনীতা ঐ ফোটো কুড়িয়ে নেবে এবং তােমার সত্যবাদিতার সঙ্গে মিলিয়ে দেখবে। হুবহু দেখতে পাবে। আর মুহূর্তের মধ্যে তার অমূলক সন্দেহ কোথায় উড়ে যাবে! অকারণে তােমার মতাে একনিষ্ঠ প্রেমিককে অবিশ্বাস করার জন্যে সে সবিনয়ে তােমার ক্ষমাভিক্ষা করবে। 

পুনর্বিনীতাকে ফিরে পাবে পুনরায়। এই প্ল্যানটা তােমার কেমন লাগে?” “এই বয়!” মহীতােষ তার জবাব দেয় : “এই বাবুকে এক কাপ কফি দাও।” “কবে দেখা করছ ওর সঙ্গে?” গরম কফির এক ঢোক গিলে আমি জানতে চাই। এই রােববারই।” “ভালােই। এর মধ্যে কারাে একটা ক্যামেরা ধার করে পাড়ার প্রৌঢ়াদের তাড়া করে বেড়াও। বঁড়শি হাতে বর্ষিয়সীদের পিছু পিছু ফিরতে থাকো। না তাই বা কেন? আমাদের মন্টুর কাছে গাদা গাদা ফোটো রয়েছে তার দিদিমার ফোটো। নানান পােজের। চকোলেট কি লজেন্স কিছু দিয়ে ওর একটা ফোটোর ওপর ওকে দিয়ে লিখিয়ে নিলেই তাে হয়। 

আরও পড়ুনঃ গল্পঃ রোমান্স 

ছেলে-মানুষের লেখা আর মেয়ে-মানুষের লেখা প্রায় একাকার মানে সেকেলে মেয়ের আর একেলে ছেলের দেবাক্ষর হুবহু এক তাই নয় কি!” “ই।” মহীতােষ, ঘাড় নাড়ে। “কেবল হাতের লেখাতেই না, কার্যতঃও। মেয়েদের ছেলেমানুষী দেখে দেখে তাই আমার ধারণা হয়েছে!” “বেশ। কিন্তু মনে থাকে যেন এর পরে সুষমার সঙ্গে আর কোনাে ব্যাপারে তুমি নেই?” “খুব সম্ভব, আর না। আবার? তাছাড়া আমি সে সুযােগ পেলে তাে? বরেন সে ছেলেই নয়! কোনাে দিকে কোনাে ফাঁক রাখবার ছেলে কি সে? সুষমার কথা সে বিনীতাকে বলেছে, আর বিনীতার কথা সে সুষমাকে বলেছে, “হয়েছে, হয়েছে বুঝতে পেরেছি।” আমি অতি কষ্টে ওর বাক্যের পারম্পর্য ভেদ করে বেরুই : “আর বলতে হবে না।” বাকচক্ৰব্যুহের পাকচক্রের বাইরে এসে হাঁফ ছাড়ি। “আবার ফের গােলমালের মধ্যে? তুমি বলছ কী বন্ধু? এ জীবনে আর নয়। এর পর থেকে, ভবিষ্যতে, একনিষ্ঠার সরল সরু পথ ছাড়া আর অন্য পথ আমার নেই।”ও বলে। পৃথিবীর অসংখ্য বিপথগামীর এক-জনকেও যে পঙ্কোদ্ধার করতে পেরেছি, এই আনন্দ নিয়ে সােমবার দিন সমস্ত কাজ ফেলে যথাসময়ে কফি হাউসে হাজির হলাম। 


প্রথম দর্শনেই ওকে সহাস্য দেখব, বিশ্বব্যাপী প্রসন্ন ঔদার্যের কারুকার্য মুখে নিয়ে পৃথিবীর সকলের প্রতি অপার্থিব অপত্যস্নেহে খচিত হয়ে, অনায়াস-লন্ধ এই সংসারের যাবতীয় দুঃখকষ্টকে আবার সে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করছে, অকাতরেই করছে, এই রকমটাই দেখতে পাব, স্বভাবতঃই এই প্রত্যাশা নিয়ে গেছি। কিন্তু না! দেখলাম, হাউসের নির্জন প্রান্তে, কফির পাত্র হাতে, নিজেকে কোণঠাসা করে নিঃসঙ্গ সে বসে রয়েছে এবং মহীতােষের মুখে সেই আগের অসন্তোষ! “কী হে খবর কী? মিটে গেছে তাে সব?” তাতে ম্রিয়মাণ দেখে আমিই প্রশ্নবাণ ছাড়লাম। “তুমি শুনে দুঃখিত হবে বন্ধু”, ম্লানমুখে আস্তে আস্তে সে প্রচার করল : “বিনীতার সঙ্গে আমার বাক্যালাপ খতম। চিরদিনের মতােই বন্ধ এবার।” “এ্যা? সে কী হে! ফোটোর ব্যাপারটার সুবিধে হল না বুঝি?” “হয়েছিল। হয়েছিল কিছুদূর ! আমার দোষেই গড়বড় হয়ে গেল শেষটায়। বিনীতা তাে আর বােকা মেয়ে না, দুই আর দুই যােগ করে চার বার করা তার পক্ষে শক্ত নয় তাে তেমন।” মহীতােষ আধ মাইল চওড়া এক দীর্ঘনিশ্বাস ছেড়ে দেয় : “আমারই অবিমৃষ্য-কারিতা। 

তােমার ভাষায় অবিমিশ্ৰকারিতাও বলতে পারাে।” “এর মধ্যে অবিমৃষ্যকারিতা আসছে কোত্থেকে?” আমি অবাক হই। “দুটো ফোটোই আমি এক পকেটে রেখেছিলাম কিনা। আর দুটোই পকেট থেকে একসঙ্গে পড়ে গেল।” “দুটো ফোটো এক সঙ্গে রাখার কী মানে? একই মেয়ের দুই ফোটো?” “তােমার মনে তবু তাে একটা প্রশ্ন জেগেছে কিন্তু বিনীতা! সেই ফোটো দুখানা দেখে আর একটি কথাও না। কোনাে কৈফিয়ৎ কেন কী বৃত্তান্ত জিজ্ঞাসা করা দুরে থাক আমার দিকে চাইল না পর্যন্ত। বােমার মতাে মুখখানা করে না ফেটেই, হাউইয়ের মতাে শূন্যে উড়ে গেল। 

তৎক্ষণাৎ!” “কেন, মন্টুর দিদিমা কি তার চেনাজানার মধ্যে নাকি?” আমি সন্দিগ্ধ হলাম : “ধরা পড়ে গেলে বুঝি?” “তা নয়। ধরা পড়লাম বটে,তবে সেদিক থেকে না। যেমনি না সেই ফোটো দুটো দেখল সে দুটোই সেই বিশ্রী প্রবৃদ্ধা মাতামহীর এবং তার একটাতে লেখা “কল্যাণীয় শ্ৰীমান মহীতােষকে ইতি আশীর্বাদিকা শ্রীমতী সুষমা দেব্যা’ আর অপরটায়, “হ্যা?” “অপরটায় ‘কল্যাণীয় শ্রীমান মহীতােষকে ইতি আশীর্বাদিকা শ্রীমতী বিনীতা দেব্যা’-” “কিন্তু কেন? এই অপরটার তােমার কি দরকার ছিল শুনি?” “সুষমা সেন সেটিকে মাটি থেকে কুড়ােবেন সেই জন্যেই।” মহীতােষ জানায় “কেন আবার?

                             (সমাপ্ত)

Prosanta Mondal

Hey Guys My Name Is Prosanta Mondal From Kolkata, India. I Am A Professional Blogger and Creative Content Writer.

Post a Comment

Appreciate Your Valuable Feedback. I Hope You Like Post And Subcribe Our Blog. Please DO NOT SPAM - Spam Comments Will Be Deleted Immediately.

Previous Post Next Post