Rabindranath Tagore Birthday Wishes in Bengali 2023

WhatsApp Channel Follow Now
Telegram Group Follow Now

Last updated on July 4th, 2023 at 12:50 am

Rabindranath Tagore Birthday Wishes in Bengali – পঁচিশে বৈশাখ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন অর্থাৎ রবীন্দ্র জয়ন্তী। এই দিনটি বাঙালি জাতির একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক উৎসবের দিন। বাংলা তারিখ অনুযায়ী, প্রত্যেক বছর বৈশাখ মাসের ২৫ তারিখে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রবীন্দ্র জয়ন্তী উৎসব পালন হয়। 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাঁকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথকে কবিগুরু ও বিশ্বকবি অভিধায় ভূষিত করা হয়। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

Rabindranath Tagore Birthday Wishes in Bengali


Rabindra Jayanti Wishes in Bengali | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতা সমগ্র


১. পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দূরত্ব কোনটি জানো? নাহ, জীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত, উত্তরটা সঠিক নয়। সবচেয়ে বড় দূরত্ব হলো যখন আমি তোমার সামনে থাকি, কিন্তু তুমি জানো না যে আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি।
২. ভালোবাসা হলো একমাত্র বাস্তবতা, এটি শুধুমাত্র আবেগ দিয়ে নিয়ন্ত্রিত নয়। এটি হলো একটি চিরন্তন সত্য যা যেই হৃদয়ে সৃষ্টি হয়, সেই হৃদয়ে থাকে।
৩. আমি তোমাকে অসংখ্য ভাবে ভালবেসেছি, অসংখ্যবার ভালবেসেছি, এক জীবনের পর অন্য জীবনেও ভালবেসেছি, বছরের পর বছর, সর্বদা, সবসময়।
৪. গোলাপ যেমন একটি বিশেষ জাতের ফুল, বন্ধু তেমনি একটি বিশেষ জাতের মানুষ।
৫. কেউ বা মরে কথা বলে, আবার কেউ বা মরে কথা না বলে।
৬. প্রেমের আনন্দ থাকে স্বল্পক্ষণ কিন্তু বেদনা থাকে সারাটি জীবন।
৭. অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তবে ঘৃণা তারে যেস তৃণসম দহে।
৮. ‘বিপদে মোরে রক্ষা কর এ নহে মোর প্রার্থনা বিপদে আমি না যেন করি ভয়’
৯. সংসারেতে ঘটিতে ক্ষতি লভিলে শুধু বঞ্চনা নিজের মনে না যেন মানি ক্ষয়।
১০. মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ।
১১. যে খ্যাতির সম্বল অল্প তার সমারোহ যতই বেশি হয়, ততই তার দেউলে হওয়া দ্রুত ঘটে।
১২. কী পাইনি তারই হিসাব মেলাতে মন মোর নহে রাজি।
১৩. যে মরিতে জানে সুখের অধিকার তাহারই। যে জয় করতে ভোগ করা তাহাকেই সাজে।
১৪. যে লোক পরের দুঃখকে কিছুই মনে করে না তাহার সুখের জন্য ভগবান ঘরের মধ্যে এত স্নেহের আয়োজন কেন রাখিবেন।
১৫. সংসারে সাধু-অসাধুর মধ্যে প্রভেদ এই যে, সাধুরা কপট আর অসাধুরা অকপট।
★ আরও পড়ুনঃ ★ 
১৬. হঠাৎ একদিন পূর্ণিমার রাত্রে জীবনে যখন জোয়ার আসে, তখন যে একটা বৃহৎ প্রতিজ্ঞা করিয়া বসে জীবনের সুদীর্ঘ ভাটার সময় সে প্রতিজ্ঞা রক্ষা করিতে তাহার সমস্ত প্রাণে টান পড়ে।
১৭. নারী দাসী বটে, কিন্তু সেই সঙ্গে নারী রাণীও বটে।
১৮. মনে যখন একটা প্রবল আনন্দ একটা বৃহৎ প্রেমের সঞ্চার হয় তখন মানুষ মনে করে, ‘আমি সব পারি’। তখন হঠাৎ আত্মবিসর্জনের ইচ্ছা বলবতী হইয়া ওঠে।
১৯. সংসারের কোন কাজেই যে হতভাগ্যের ভুদ্ধি খেলে না, সে নিশ্চয়ই ভাল বই লিখিবে।
২০. যে ছেলে চাবামাত্রই পায়, চাবার পূর্বেই যার অভাব মোচন হতে থাকে; সে নিতান্ত দুর্ভাগা। ইচ্ছা দমন করতে না শিখে কেউ কোনকালে সুখী হতে পারেনা।
২১. সামনে একটা পাথর পড়লে যে লোক ঘুরে না গিয়ে সেটা ডিঙ্গিয়ে পথ সংক্ষেপ করতে চায় – বিলম্ব তারই অদৃষ্টে আছে।
২২. বিধাতা আমাদের বুদ্ধি দেনটি কিন্তু স্ত্রী দিয়েছেন, আর তোমাদের বুদ্ধি দিয়েছেন; তেমনি সঙ্গে সঙ্গে নির্বোধ স্বামীগুলোকেও তোমাদের হাতে সমর্পণ করেছেন। – আমাদেরই জিত।
২৩. বিয়ে করলে মানুষকে মেনে নিতে হয়, তখন আর গড়ে নেবার ফাঁক পাওয়া যায় না।
২৪. লোকে ভুলে যায় দাম্পত্যটা একটা আর্ট, প্রতিদিন ওকে নতুন করে সৃষ্টি করা চাই।
২৫. সোহাগের সঙ্গে রাগ না মিশিলে ভালবাসার স্বাদ থাকেনা – তরকারীতে লঙ্কামরিচের মত।
২৬. সাধারণত স্ত্রীজাতি কাঁচা আম, ঝাল লঙ্কা এবং কড়া স্বামীই ভালোবাসে। যে দুর্ভাগ্য পুরুষ নিজের স্ত্রীর ভালোবাসা হইতে বঞ্চিত সে – যে কুশ্রী অথবা নির্ধন তাহা নহে; সে নিতান্ত নিরীহ।
২৭. যারে তুমি নিচে ফেল সে তোমাকে বাঁধিবে যে নিচে। পশ্চাতে রেখেছ যারে সে তোমারে পশ্চাতে টানিছে।
২৮. ‘কত বড়ো আমি’ কহে নকল হীরাটি। তাই তো সন্দেহ করি নহ ঠিক খাঁটি।
২৯. যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে 
৩০. সময়ের সমুদ্রে আছি কিন্তু এক মুহুর্তে সময় নেই 
৩১. আগুনকে যে ভয় পায়, সে আগুনকে ব্যবহার করতে পারে না 
৩২. যৌবনই ভোগের কাল বার্ধক্য স্মৃতিচারণের 
৩৩. দীর্ঘ আয়ু দীর্ঘ অভিশাপ বিচ্ছেদের তাপ নাশে সেই বড়ো তাপ 
৩৪. নিজের অজ্ঞতা সম্বন্ধে অজ্ঞানতার মতো অজ্ঞান আর তো কিছু নাই 
৩৫. যে ধর্মের নামে বিদ্বেষ সঞ্চিত করে, ঈশ্বরের অর্ঘ্য হতে সে হয় বঞ্চিত। 
৩৬. ক্ষমাই যদি করতে না পারো, তবে তাকে ভালোবাসো কেন? 
৩৭. “ খেয়াঘাটে ওঠে গান অশ্বথতলে ,পান্থ বাজায়ে বাঁশি আন্‌মনে চলে । ধায় সে বংশীরব বহুদূর গাঁয় , জনহীন প্রান্তর পার হয়ে যায় ” দূরে কোন্‌ শয্যায় একা কোন্‌ ছেলে বংশীর ধ্বনি শুনে 
৩৮. রাত কাটে, ভোর হয়, পাখি জাগে বনে —চাঁদের তরণী ঠেকে ধরণীর কোণে 
৩৯. ভয়ের তাড়া খেলেই ধর্মের মূঢ়তার পিছনে মানুষ লুকাতে চেষ্টা করে 
৪০. মন দিয়ে মন বোঝা যায়, গভীর বিশ্বাস শুধু নীরব প্রাণের কথা টেনে নিয়ে আসে। 
৪১. অনুগ্রহ দুঃখ করে, দিই, নাহি পাই। করুণা কহেন, আমি দিই, নাহি চাই। 
৪২. আনন্দে আতঙ্কে নিশি নন্দনে উল্লাসে গরজিয়া মত্ত হাহা রবে ঝার সঞ্জীব বাধ উন্মাদিনী কালবৈশাখীর নৃত্য হোক তবে । 
৪৩. তুমি যদি না দেখা দাও, কর আমায় হেলা, কেমন করে কাটে আমার এমন বাদল-বেলা। 
৪৪. অক্ষমের লোভ আলাদিনের প্রদিপের গুজব শুনলেই লাফিয়া অঠে 
৪৫. সাত কোটি বাঙালিরে হে মুগ্ধ জননী রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করনি 
৪৬. আমি পাইলাম , আমি ইহাকে পাইলাম 
৪৭. মনুষ্যত্বের শিক্ষাটাই চরম শিক্ষা আর সমস্তই তার অধীন 
৪৮. অতীতকাল যত বড় কালই হ’ক নিজের সম্বন্ধে বর্তমান কালের একটা স্পর্ধা থাকা উচিত। মনে থাকা উচিত তার মধ্যে জয় করবার শক্তি আছে। 
৪৯. মানুষ পণ করে পণ ভাঙিয়া ফেলিয়া হাঁফ ছাড়িবার জন্য 
৫০. এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম, প্রেম মেলে না, শুধু সুখ চলে যায় 

Birpurush Kobita Lyrics

মনে করো, যেন বিদেশ ঘুরে
মাকে নিয়ে যাচ্ছি অনেক দূরে।
তুমি যাচ্ছ পালকিতে, মা, চ’ড়ে
দরজা দুটো একটুকু ফাঁক ক’রে,
আমি যাচ্ছি রাঙা ঘোড়ার ‘পরে
টগবগিয়ে তোমার পাশে পাশে।
রাস্তা থেকে ঘোড়ার খুরে খুরে
রাঙা ধূলোয় মেঘ উড়িয়ে আসে।
সন্ধ্যে হল, সূর্য নামে পাটে,
এলেম যেন জোড়াদিঘির মাঠে।
ধূ ধূ করে যে দিক-পানে চাই,
কোনোখানে জনমানব নাই,
তুমি যেন আপন-মনে তাই
ভয় পেয়েছ-ভাবছ, ‘এলেম কোথা।’
আমি বলছি, ‘ভয় কোরো না মা গো,
ওই দেখা যায় মরা নদীর সোঁতা।’
আমরা কোথায় যাচ্ছি কে তা জানে-
অন্ধকারে দেখা যায় না ভালো।
তুমি যেন বললে আমায় ডেকে,
‘দিঘির ধারে ওই-যে কিসের আলো!’
এমন সময় ‘হাঁরে রে রে রে রে’
ওই – যে কারা আসতেছে ডাক ছেড়ে!
তুমি ভয়ে পালকিতে এক কোণে
ঠাকুর-দেবতা স্মরণ করছ মনে,
বেয়ারাগুলো পাশের কাঁটাবনে
আমি যেন তোমায় বলছি ডেকে,
‘আমি আছি, ভয় কেন, মা, করো!’
তুমি বললে, ‘যাস নে খোকা ওরে,’
আমি বলি, ‘দেখো-নাচুপ করে।’
ছুটিয়ে ঘোড়া গেলেম তাদের মাঝে,
কী ভয়ানক লড়াই হল মা যে
শুনে তোমার গায়ে দেবে কাঁটা।
কত লোক যে পালিয়ে গেল ভয়ে,
কত লোকের মাথা পড়ল কাটা।।
এত লোকের সঙ্গে লড়াই ক’রে,
ভাবছ খোকা গেলই বুঝি মরে।
আমি তখন রক্ত মেখে ঘেমে
বলছি এসে, ‘লড়াই গেছে থেমে,’
তুমি শুনে পালকি থেকে নেমে
চুমো খেয়ে নিচ্ছ আমায় কোলে
বলছ, ‘ভাগ্যে খোকা সঙ্গে ছিল’
কী দুর্দশাই হত তা না হলে!’

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

Leave a Comment