Happy Vishwakarma Puja 2023 Wishes, Quotes in Bengali

WhatsApp Channel Follow Now
Telegram Group Follow Now

Last updated on July 4th, 2023 at 12:49 am

Happy Vishwakarma Puja Wishes Quotes, Images and Captions in Bengali : বিশ্বকর্মা পূজা হিন্দুদের একটি ধর্মীয় উৎসব। দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার আশিস কামনায় এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বকর্মা চতুর্ভুজ ও গজারূঢ়। তাঁর আকৃতি অনেকটা কার্তিকের মতো।

 
বেদে বিশ্বকর্মাকে পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তারূপে বর্ণনা করা হয়েছে। ভক্তদের বিশ্বাস মতে তিনি বিশ্বের তাবৎ কর্মের সম্পাদক। তিনি শিল্পসমূহের প্রকাশক, অলঙ্কার শিল্পের স্রষ্টা, দেবতাদের গমনাগমনের জন্য বিমান নির্মাতা ইত্যাদি। অর্থাৎ শিল্পবিদ্যায় তাঁর একচ্ছত্র অধিকার। তাই যাঁরা শিল্পকর্মে পারদর্শিতা লাভ করতে চান, তাঁরা বিশ্বকর্মার অনুগ্রহ কামনা করেন।
 
 
Happy Vishwakarma Puja Wishes in Bengali

Happy Biswakarma Puja Wishes in Bengali 

 
সকলকে বিশ্বকর্মা পুজোর আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আনন্দে দিন কাটুক। আকাশে রঙিন ঘুড়ির মতন সকলের জীবন বর্ণময় হয়ে উঠুক এই কামনা করি
 

বিশ্বকর্মা পূজার এই শুভ মুহূর্তে সকলকে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা কামনা করি বাবা বিশ্বকর্মার আশীর্বাদে সবার জীবন আনন্দে ভরে উঠুক। শুভ বিশ্বকর্মা পূজা

 

হে দেব বিশ্বকর্মা ,তোমার চরণে কোটি কোটি প্রনাম জানাই;এই পৃথিবীর যা কিছু মহৎ সৃষ্টি সবই যে তোমার দান। এই মহান সৃষ্টিকে তুমি আগলে রেখো; সকল কল্যাণ কর!!! শুভ হোক বিশ্বকর্মা পূজা

 
বিশ্বকর্মা পূজার এই পবিত্র দিনে সুখে থাকুক সবাই, এসো সবাই মনের দরজা খুলে, আনন্দে, ভালোবাসায় আজকের দিনটি কাটাই
 

তুমিই যন্ত্রের দেব, শ্রেষ্ঠ কারিগর,এ জগতের সকল নির্মাণ শিল্প দাঁড়িয়ে আছে তোমার কৃপার উপর। এ বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ও সৃষ্টি যেন তোমার কৃপা থেকে কভু না হয় বঞ্চিত!! বিশ্বকর্মা পূজার আন্তরিক শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও ভালোবাসা সকলের জন্য

 
তোমার মনের সকল আশা পূর্ণ হোক,
বিশ্বকর্মা ঠাকুরের আশীর্বাদে, তুমি সুখে শান্তিতে থাকো। এই কামনা নিয়ে তোমাকে
বিশ্বকর্মা পূজার শুভেচ্ছা জানাই
 

হাতুড়ির ঠুক ঠাক থেকে ইঞ্জিনের ঝন ঝন,সারাদিন তোমার মহিমার জোরে কর্মে থাকে, এই পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষজন।বিশ্বকর্মা পুজোর শুভ লগ্নে সকলকে জানাই আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও ভালোবাসা

 

শুভ বিশ্বকর্মা পূজার শুভেচ্ছা বার্তা

 
বিশ্বকর্মা ঠাকুরের আশীর্বাদে পৃথিবী থেকে দূরীভূত হোক সব দুঃখ-কষ্ট, ব্যথা-বেদনা, পাপ-অন্যায়, বিশ্বকর্মা পূজার পূণ্য-পাবনে
সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই 
 

কর্ম দিয়ে মানুষকে রেখেছো নিরাপদে,তোমার আশীর্বাদে ধন্য সব জীবিকার মানুষজন…তোমার আশীর্বাদ ও কৃপাদৃষ্টি কেন থাকে আজীবন!! এই করি প্রার্থনা প্রতিনিয়ত ও প্রতিক্ষণ!!!বিশ্বকর্মা পুজো সবার শুভ কাটুক; সুখ, সমৃদ্ধি এবং কর্মদক্ষতা জেগে উঠুক সকলের ঘরে ঘরে

 
আরও পড়ুন:
 

আপনার ও আপনার পরিবারের সকলের জন্য রইল বিশ্বকর্মা পূজার শুভেচ্ছা সহ অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভ কামনা

 
পৃথিবী জুড়ে তোমার ইচ্ছায়, চলছে অপরূপ সব নির্মাণ,তোমার পুন্যদৃষ্টি থাকুক সকলের উপর,কায়মনোবাক্যে করি তোমায় আহ্বান।বিশ্বকর্মা পুজোর এই শুভ মুহূর্তে সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন সকলের মঙ্গল করুন ঈশ্বর; সকলের মনস্কামনা পূর্ণ হোক
 
বিশ্বকর্মা ঠাকুরের হাত সর্বদা আপনার মাথায় থাকুক, সুখ এবং সমৃদ্ধি আপনার সাথে থাকুক, আপনার সকল চাওয়া পাওয়া পূর্ণ হোক
 

বিশ্বকর্মা পূজার এই পবিত্র তিথিতে আপনার যা কিছু ইচ্ছা এবং আপনার সকল স্বপ্ন পূর্ণতা পাক। আপনার নেওয়া প্রতিটি পদক্ষেপে যেন সাফল্য আপনার নিত্য সঙ্গী হয়ে থাকতে পারে। শুভ বিশ্বকর্মা পূজা

 

বিশ্বকর্মা ঠাকুরের আশীর্বাদে তোমার জীবন সাফল্য আর আনন্দে ভরে উঠুক

 
Happy Biswakarma Puja Wishes in Bengali

 

 

Happy Biswakarma Puja Quotes in Bengali 

 

বিশ্বকর্মা পূজার পুণ্য লগ্নে সকলকে আমার ও আমার পরিবারের সকলের তরফ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। প্রভু বিশ্বকর্মা যেন আমাদের সকলকে শান্তি, সুখ, সমৃদ্ধি প্রদান করেন

 
বিশ্বকর্মা পূজার মতোই আনন্দময় হোক প্রতিটি দিন। সুন্দর হোক জীবন,পূরণ হোক মনের সব চাওয়া পাওয়া
 

ভগবান বিশ্বকর্মা যেন আপনাদের সবাকার জীবনের প্রতিটি দিন সুখ এবং সমৃদ্ধিতে ভরিয়ে তোলেন; পেশাদার জীবনকে তার কাঙ্খিত সাফল্যে পরিপূর্ণ করেন। শুভ বিশ্বকর্মা পূজা

 
এই বিশ্বকর্মা পূজাতে, বিশ্বকর্মা ঠাকুরের আশীর্বাদ তোমার ওপর পড়ুক তোমার জীবন সুখ-শান্তি এবং আনন্দে পরিপূর্ণ থাকুক
 

বিশ্বকর্মা পূজার এই পুণ্য লগ্নে আসুন একটি নতুন ও উন্নত বিশ্ব গঠনের অংশীদার হয়ে উঠি আমরা সকলে। বিশ্বকর্মা পূজার আন্তরিক শুভেচ্ছা

 
স্বপ্নগুলো সত্যি হোক, সকল আশা পূরণ হোক, দুঃখগুলো দূরে যাক, সুখে জীবন ভরে যাক, জীবনটা হোক ধন্য, বিশ্বকর্মা পূজার শুভেচ্ছা তোমার জন্য!
 

বিশ্বকর্মা পূজার উপকরণ

 
বিশ্বকর্মা পূজা – সিন্দুর, পুরোহিত বরণ ১, তিল, হরিতকী, পঞ্চগুঁড়ি, পঞ্চগব্য, পঞ্চশস্য, পঞ্চরত্ন, পঞ্চপল্লব, ঘট ১, কুন্ডহাঁড়ি ১,তেকাঠা ১, দর্পণ ১, তীর ৪, ঘটচ্ছাদন গামছা ১, বরণডালা, সশীষ ডাব ১, একসরা আতপ তণ্ডুল, পুষ্প, দূর্ব্বা, তুলসী, বিল্ল্বপত্র, ধূপ, দীপ, ধুনা, বিশ্বকর্মার ধুতি ১, আসনাঙ্গুরীয়ক ১, মধুপর্কের বাটী, ঘৃত, দধি, মধু, নৈবেদ্য ১, কুচা নৈবেদ্য ১, চন্দ্রমালা ১, পুষ্পমালা ১, থালা ১, ঘটি ১, পান, পানের মশলা, বালি, কাষ্ঠ, খোড়কে, গব্যঘৃত ১ পোয়া, পূর্ণপাত্র ১, আরতি ও দক্ষিণা।
 

বিশ্বকর্মা পূজার পাঁচালী

 
রাবনের রাজাপ্রসাদের সাথে সুন্দর উদ্যান, গোষ্ঠ, মন্ত্রণা গৃহ, মনোরম ক্রীড়া স্থান, রাজাপ্রাসাদের কারুকার্য ইত্যাদি দেবশিল্পীর নিখুত শিল্প কলার পরিচয় দেয় । এছাড়া ভাগবত পুরান অনুসারে দ্বারকা নগরীর যে সুরক্ষিত, ভাস্কর্য , কলা কৌশলের একটি ধারনা পাওয়া যায়- তাতে শিল্পী বিশ্বকর্মার শিল্প কে দেখে আশ্চর্য হতে হয় । বিশ্বকর্মার অপর নির্মাণ হল দেবপুরী । তিনি সমস্ত সৌন্দর্য কে মিলিয়ে এই পুরী নির্মাণ করেছিলেন । এই পুরীকে পাওয়ার জন্য বারংবার অসুর গণ সুর লোকে হানা দিয়েছিলেন। তাই বিশ্বকর্মার সৃষ্টিকে প্রনাম না করে থাকা যায় না । 
 
মৎস্য পুরান বলে- কি কূপ, কি প্রতিমা, কি গৃহ, কি উদ্যান সকল কিছুর উদ্ভাবক হলেন বিশ্বকর্মা। শুধু এখানেই বিশ্বকর্মার সৃষ্টি শেষ নয়, যে বিমানে চড়ে দেবতারা গমন করেন- তাও বিশ্বকর্মার তৈরী। এবং বিভিন্ন দিব্য বান- যা কেবল দেবতাদের অস্ত্রাগারে থাকে – তাও বিশ্বকর্মার তৈরী। যে ধনুক দিয়ে ভগবান শিব ত্রিপুরাসুরকে বধ করেছিলেন, যে ধনুক পরশুরামের কাঁধে শোভা পেতো- সেই ধনুক বিশ্বকর্মার সৃষ্টি। বৃত্রাসুর বধের জন্য বিশ্বকর্মা দধীচি মুনির অস্থি থেকে বজ্র নির্মাণ করে দেবেন্দ্র কে দিয়েছিলেন । কিছু পুরান বলে ভগবান বিষ্ণুর চক্র, ভগবান শিবের ত্রিশূল বিশ্বকর্মার সৃষ্টি । শ্রী শ্রী চন্ডীতে দেখি মহিষাসুর বধের জন্য দেবী মহামায়া প্রকট হলে দেবীকে তীক্ষ্ণ বর্শা, অভেদ্য কবচ এবং বহু মারনাস্ত্র বিশ্বকর্মা দেবীকে প্রদান করেন । রামচন্দ্রের সেতু বন্ধনের অন্যতম কারিগর নল এই বিশ্বকর্মার পুত্র ।
 
বিষ্ণু পুরান বলে ত্বষ্টা নামক এক শিল্পী ছিল- যিনি বিশ্বকর্মার পুত্র । দেবতাদের শিল্পী যেমন বিশ্বকর্মা , তেমনি অসুর দের শিল্পী হলেন ময় দানব । বায়ু পুরান ও পদ্ম পুরান মতে ভক্ত প্রহ্লাদের কন্যা বিরোচনার সাথে বিশ্বকর্মার বিবাহ হয় । বিশ্বকর্মার ঔরসে বিরোচোনার গর্ভে অসুর শিল্পী ময় দানবের জন্ম হয় । 
 
ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরান মতে বিশ্বকর্মা ও তাঁর স্ত্রী ঘৃতাচী দুজনেই শাপ পেয়ে ধরাধামে জন্ম নেন । ঘৃতাচী ছিলেন স্বর্গের এক নর্তকী । তাঁদের নয়টি সন্তান হয় – যথা মালাকার , কর্মকার , কাংস্যকার, শঙ্খকার , সূত্রধর, কুবিন্দক, কুম্ভকার, স্বর্ণকার, চিত্রকর । বিশ্বকর্মা প্রত্যেক কেই নানান শিল্প শেখান । তিনি মালাকারকে পুস্প শিল্প, কর্মকারকে লৌহ শিল্প, কাংস্যকারকে কাংস শিল্প, শঙ্খ কারকে শঙ্খ শিল্প, সূত্রধরকে কাষ্ঠ শিল্প, কুবিন্দক কে বয়ন শিল্প, কুম্ভকারকে মৃৎ শিল্প, স্বর্ণকারকে অলঙ্কার শিল্প, চিত্রকরকে অঙ্কন শিল্প শেখান। স্কন্ধ পুরান বলে বৃত্রাসুর হলেন বিশ্বকর্মার পুত্র। যাকে ইন্দ্র দেবতা বধ করেন । তবে স্কন্ধ পুরানের এই মত অপর কোন পুরানে পাওয়া যায় নি । 
 
এত সর্তেও বলা যায় বিশ্বকর্মার এক মেয়ে পিতার অমতে বিয়ে করেছিল। এই কারনে বিশ্বকর্মা বানর হয়ে পৃথিবীতে জন্মান । ঘটনা টি এই- বিশ্বকর্মা ও ঘৃতাচীর কন্যা চিত্রাঙ্গদা পৃথিবীর সূর্য বংশীয় রাজা সুরথ কে ভালোবাসতো। সুরথও চিত্রঙ্গদা কে ভালোবাসতো । কিন্তু দেবতা হয়ে ত মানুষের সাথে বিবাহ হয় না । বিশ্বকর্মা জানতে পেরে মেয়েকে যথেষ্ট শাসন করলেন । এই অবস্থায় পৃথিবীর মেয়েরা যা করে বিশ্বকর্মার কন্যা টিও তাই করলো । স্বর্গ থেকে পালালো । দুজনে বিবাহ করে নিলো। ক্রোধে অগ্নিশর্মা হয়ে বিশ্বকর্মা আসলেন । কন্যা ভাবলেন পিতা বুঝি আশীর্বাদ করতে এসেছেন । কিন্তু না। বিশ্বকর্মা অভিশাপ দিলেন । কন্যার বিবাহ বিচ্ছেদ হোক – এমন অভিশাপ দিলেন । কিন্তু সনাতন ধর্মে বিবাহকে খুব পবিত্র সম্পর্ক মানা হয়- যেখানে বিবাহ বিচ্ছদের স্থান নেই। 
 
তাই মহর্ষি ঋতধ্বজ ভাবলেন দেবতা হয়ে বিশ্বকর্মার একি পশুর মতো বুদ্ধি? মুনি বিশ্বকর্মা কে বানর কূলে জন্মাবার শাপ দিলেন । বিশ্বকর্মা বানর হলেন । অবশেষে এক সময় কন্যার বিবাহ মেনে নিলে কন্যা ও বিশ্বকর্মা দুজনেরই শাপ দূর হয়।
 

Leave a Comment

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now